হেড লাইন: মাদারীপুরে স্বামীর ঘর থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় আসমা আক্তার নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে মাদারীপুর পৌর শহরের থানতলীর গোলবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী ও তার পরিবার পলাতক রয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, টাকা না দেয়ায় স্বামীর পরিবার গৃহবধূকে হত্যা করে ঘরে ফ্যাঁনের সঙ্গে ঝুঁলিয়ে রেখেছে।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১১ সলে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের মহিষেরচর গ্রামের মোস্তফা মৃধার মেয়ে আসমা আক্তারের (২৮) সঙ্গে পৌরসভার গোলবাড়ী এলাকার শহর হাওলাদারের ছেলে উজ্জ্বল হাওলাদারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে আসমার পরিবার থেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা নেয়। এরপরে উজ্জ্বল হাওলাদার কয়েক বছর আগে ইতালি চলে যায়। কিন্তু উজ্জ্বলের ছোট ভাই সজীব হাওলাদারকে ইতালি নেয়ার জন্যে উজ্জ্বল আসমা আক্তারকে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু আসমার পরিবার সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মোবাইলে হুমকি-ধামকি দেয় উজ্জ্বল। গতকাল সোমবার বিকেলে স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে ঝগড়া হলে আসমা তার বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি চলে আসে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে আসমাকে কোথাও পাওয়া না গেলে তার বসত ঘরের রান্না কক্ষের ফ্যাঁনের সঙ্গে মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহতের ভাই উজ্জ্বল মৃধা জানান, আমার বোনের স্বামী এ পর্যন্ত নানা অজুহাতে ৩৫ লাখের ওপরে টাকা নিয়েছে। সোমবারও সে এক লাখ টাকা আর একটি মোটরসাইকেল দাবি করে। আমি সেটা দিতে অস্বীকার করলে বোনকে মোবাইলে গালাগালি করে। তার ছোট ভাই বাড়িতে বোনকে টাকার জন্যে নির্যাতন করতো। তারাই আমার বোনকে হত্যা করে ফাঁনের সঙ্গে ঝুঁলিয়ে রেখেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই। এব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এঘটনায় আপাতত দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে থানায় আনা হয়েছে।
সূত্র: Channel 24
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |