প্রচ্ছদ খেলাধুলা না ফেরার দেশে বিসিবি কোচ জাফরুল এহসান

না ফেরার দেশে বিসিবি কোচ জাফরুল এহসান

২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে মরণম্যাধি ব্ল্যাড ক্যান্সার অ্যাকিউট মাইলয়েড লিউকেমিয়ার (এএমএল) সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে হার মানলেন বিসিবির সিনিয়র হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের কোচ জাফরুল এহসান (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)।সুস্থ হয়ে আবারও মাঠে ফেরার আশা ছিল তার, কিন্তু সেটি আর হলো না।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই টাইগার কোচ। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তার মেয়ে লামিসা তাহসিন কায়নাত। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬০।

জাফরুলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এক বিবৃতিতে বিসিবি জাফরুল এহসানের কোচিং ক্যারিয়ারের বিস্তারিত তুলে ধরে।

গত সেপ্টেম্বর থেকে পুরোপুরি কাজের বাইরে ছিলেন তিনি। চিকিৎসা করাতে গিয়েছিলেন ভারতের চেন্নাইয়েও। সেখানে নানা জটিলতার সৃষ্টি হওয়ায় দুই মাস পর ফিরে আসেন। এরপর ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সোমবার রাতে শরীরের পরিস্থিতি খারাপ হলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখান থেকে আর ফেরা হয়নি।

২০০৬ সালে বিসিবির সঙ্গে যুক্ত হন জাফরুল। এরপর থেকে ক্রিকেট বোর্ডের বিভিন্ন ভূমিকায় যুক্ত ছিলেন তিনি। হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের প্রধান কোচ ও ব্যাটিং কোচ ছিলেন ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত। এর আগে ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচ ছিলেন জাফরুল। তারও আগে জাতীয় নারী দলের প্রধান কোচ ছিলেন ২০০৭ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত। জাফরুল কাজ করেছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ব্যাটিং কোচ হিসেবেও।

২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ভিভিয়ান পল টেরি পুনরায় বিসিবির হাইপারফরম্যান্স ইউনিট গঠন করেন। এহসান দলটির ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন।

লেভেল ৩ সার্টিফাইড কোচ জাফরুল এহসান ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল), বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) এবং বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগসহ (বিপিএল) ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে কোচিং স্টাফে যুক্ত ছিলেন। ২০১৭ বিপিএলে সিলেট সিক্সার্সের প্রধান কোলন করেছেন।