রাজনৈতিক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে উদ্দেশ করে ‘নারী নেতৃত্বকে হারাম’ বলে আলোচনায় এসেছেন বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নৌকা প্রতীক নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া মো. একরাম ইজারাদার। সম্প্রতি একটি নির্বাচনী জনসভায় তার দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়।।
মো. একরাম ইজারাদার ২০২১ সালে আওয়ামী লীগ থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ইউপি চেয়ারম্যান হন। তিনি সুন্দরবন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। শনিবার বিকেল ৪টার দিকে সুন্দরবন ইউনিয়নের মুসল্লিপাড়ায় ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী সভায় তিনি এ বক্তব্য দেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ৪১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, ইউপি চেয়ারম্যান মো. একরাম ইজারাদার বলছেন ‘আমরা গজবের ভেতর নিমজ্জিত আছি, এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। জনমনে কোনো স্বস্তি নেই, শান্তি নেই; তার কারণ নারী নেতৃত্ব হারাম। আমরা নারী নেতৃত্বের অধীনে, আমরা এখানে রয়েছি। আমাদের ভোটটা দুই বার বেগম হাবিবুন নাহারকে (আওয়ামী লীগ মনোনীত বাগেরহাট-৩ আসনের প্রার্থী) দিয়ে নারী নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করছি। তাই আমাদের এখানে কোনো সুখ-শান্তি অবস্থান করে নাই। যেটা সত্য, সেই কথা আমি এখানে আপনাদের বলে গেলাম। তা, উনি একজন নারী। উনি রাজনীতি আর সমাজনীতির বোঝেন কি? কিছুই বোঝেন না।’
এ বিষয়ে মোংলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুনীল কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা বক্তব্যটি শুনেছি। বক্তব্যটি যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়া চেয়ারম্যান মো. একরাম ইজারাদার বলেন, ‘মূলত আওয়ামী লীগ বা নৌকা প্রতীককে উদ্দেশ্য করে আমি এসব কথা বলিনি। জামায়াতের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ দিতে গিয়ে আমি এসব কথা বলেছি। এছাড়া উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বিভিন্ন সময় তার বরাদ্দ থেকে আমাদের বঞ্চিত করেছেন। যার কারণে আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদারের (ঈগল প্রতীক) নির্বাচন করছি।’
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |