জাতীয়: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা নাটকীয়তার জন্ম দিয়ে অবশেষে বিয়ে করলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাতে পারিবারিকভাবে ঘরোয়া আয়োজনে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে পাত্রী কে বা তার বাসা কোথায় সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন এমন কয়েকজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে হাসনাত আবদুল্লাহর অনুরোধে সবাই বিস্তারিত জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে বিয়ের বিষয়টি হাসনাত আবদুল্লাহ নিজেই তার বেশ কয়েকজন পরিচিত ব্যক্তিদের ইনবক্সে মেসেজে জানিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেন, গতকাল শুক্রবার পারিবারিকভাবে ছোট্ট পরিসরে আমার বিয়ে হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে নাটকীয় এক পোস্ট দেন হাসনাত আবদুল্লাহ। নিজের বিয়ের কথা সবার কাছে আড়াল করতেই এই নাটকীয়তার জন্ম দেন হাসনাত ও অন্যান্য সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়করা। পরে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়।
ওই পোস্টে হাসনাত লেখেন, শুনলাম আজ রাতে আসিফ মাহমুদের গায়ে হলুদ, সারজিস আলমের বিয়ে আর নাহিদ ইসলামের মেজ ছেলের সুন্নতে খৎনা।
এমন পোস্টের রহস্য তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা না গেলেও পরে জানা যায়, বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ নিয়ে শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেন সারজিস আলম।
ফেসবুকে হাসনাতকে ট্যাগ করে সারজিস লেখেন, আল্লাহ পৃথিবীতে আমাদের জন্য যা দিয়েছেন তার সবই নেয়ামত। এর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম নেয়ামত হচ্ছে একজন নেককার স্ত্রী। আজ থেকে তুমি তেমনই একজন স্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছ। দাম্পত্য জীবন সুখের হোক। আল্লাহ তোমাদের জীবনকে বরকতময় করে তুলুন।
এদিকে একাধিক সহ-সমন্বয়ক জানান, হাসনাত ভাই গতকাল বিয়ে করেছেন এটা নিশ্চিত। তবে আমরা কেউই ভাবীর পরিচয় জানি না।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |