
জুলাইয়ের গণআন্দোলনে ছাত্র হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) খুনি বিপ্লব দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও রহস্যজনকভাবে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন তার স্ত্রী।
প্রশ্ন উঠেছে, কার ইশারায় এখনো তাকে গ্রেপ্তার বা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি?
একাধিক সূত্রের দাবি, জুলাইয়ে দুই শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার পর বিপ্লব ভারতে পালিয়ে যায়। এরপরও থেমে থাকেনি তার সহিংস তৎপরতা।
সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত ওসমান হাদির ওপর হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনার সঙ্গেও বিপ্লব জড়িত থাকতে পারে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অথচ এসব গুরুতর অভিযোগের পরও তার পরিবারের কাউকে আইনের আওতায় আনা হয়নি।
বিপ্লবের স্ত্রী ইশমাত প্রিয়া, যিনি লালমাটিয়া কলেজের একজন শিক্ষিকা, নিয়মিতভাবে বিদেশ ও ভারতে যাতায়াত করেছেন বলে তথ্য মিলেছে।
সূত্র জানায়, কিছুদিন পর পর তিনি ভারতে গিয়ে আত্মগোপনে থাকা বিপ্লবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দেশে ফিরে আসেন। সর্বশেষ মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর সফর শেষে ভারতে গিয়ে তার সঙ্গে গোপন বৈঠক করে ফেরার অভিযোগও রয়েছে।
প্রশ্ন উঠেছে, একজন কলেজ শিক্ষিকা কীভাবে এত ঘন ঘন আন্তর্জাতিক সফর করছেন? এসব সফরের অর্থের উৎস কী? আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, এই যাতায়াতের আড়ালে কি খুনি বিপ্লবের নির্দেশ, অর্থ কিংবা পরিকল্পনা আদান-প্রদান হচ্ছে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিপ্লবের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ছাত্র হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে ভারত থেকে পরিচালিত কথিত সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের বহু অজানা তথ্য সামনে আসতে পারে।
তাহলে কেন এখনো তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হয়নি—এ নিয়ে জনমনে তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
সচেতন নাগরিকদের প্রশ্ন, খুনি বিপ্লবের স্ত্রী কি কোনো প্রভাবশালী মহলের আশ্রয়ে রয়েছেন? নাকি রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ার কারণেই তদন্ত থমকে আছে? ছাত্রদের রক্তের দায় কি আবারও প্রভাবশালীদের স্বার্থে চাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে?
এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে নিরপেক্ষ তদন্ত, বিপ্লবের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং বিদেশে পলাতক খুনি বিপ্লবকে ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে।
সূত্র : ইনকিলাব












































