
চাঁদপুরে কিশোরীকে উদ্ধারের পর স্বামী দাবি করে থানায় গিয়ে পেটে ছুরিকাঘাতে যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত সুজন গাজীকে প্রথমে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে কুমিল্লায় রেফার করা হয়। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশের দেয়া তথ্যানুযায়ী, পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবদুল আলিম মঙ্গলবার দুপুরে শহরের ব্যাংক কলোনিতে সুমন গাজীর ভাড়া বাসা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় গাজীর মামাকে আটক করে পুলিশ। বিকেলে গাজীর মাকে আটক করে তার মামাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
মাকে আটক রাখার পর সন্ধ্যায় সুমন গাজী পুলিশের ডাকে সাড়া দিয়ে থানায় হাজির হন। পরে থানায় উপস্থিত সবার সামনে তার বাসা থেকে উদ্ধার কিশোরীকে স্ত্রী দাবি করেন। তার নতুন বউকে কেন থানায় নেয়া হয়েছে বলে উত্তেজিত হয়ে সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে পেটে আঘাত করেন।
আহত সুমন গাজীর বোন জানান, থানায় ডেকে নিয়ে তার ভাইকে একটি থাপ্পড় দেয় পুলিশের এক কর্মকর্তা। তার পরই সুমন গাজী পেটে ছুরিকাঘাত করে। ওই কিশোরীর সঙ্গে গত শুক্রবার বিয়ে হয় বলে দাবি তার।
এদিকে একই শহরের কিশোরীর বাবা মমিন গাজী বলেন, তার মেয়ে রঘুনাথপুর হাজী এ করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ২৪ মার্চ রাতে ওই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়। তিনি ১ এপ্রিল চাঁদপুর সদর মডেল থানা একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসিন আরাফাত সাংবাদিকদের বলেন, সুমন গাজীর বিরুদ্ধে এখনও কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। একটি ঘটনার ভিতর আরেকটি ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার তদন্ত কাজ শেষ হলে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |