প্রচ্ছদ জাতীয় নতুন বউয়ের মুখ দেখা’ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার বিয়েতে চেয়ার ছোড়াছুড়ি

নতুন বউয়ের মুখ দেখা’ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার বিয়েতে চেয়ার ছোড়াছুড়ি

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায় নতুন বউয়ের মুখ দেখা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বরের ফুপাতো ভাই আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের মধ্য কাইচাইল গ্রামে ছাত্রলীগ নেতার বিয়েতে এ ঘটনা ঘটে।

বর শাহ আলম তালুকদার চরযশোরদী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। আহত ফুপাতো ভাইয়ের নাম চাঁন মিয়া (৩৮)। তিনি ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের শুয়াদী গ্রামের বাসিন্দা।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুই মাস আগে কাইচাইল গ্রামের মো. পান্নু মিয়ার মেয়ে বৃষ্টি আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার চরযশোরদী ইউনিয়নের নাগারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. মিরান তালুকদারের ছেলে শাহ আলম তালুকদারের বিয়ে হয়। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারতে শুক্রবার বিকেলে ওই ছাত্রলীগ নেতা বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে আসেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে শাহ আলমের ছোট ভাই সজীব তালুকদার নতুন বউকে দেখতে চান। কনেপক্ষের লোকজন বলে, বউ এখনো সাজানো হয়নি, এখন দেখা যাবে না।

তখন সজীব বলেন, আমার ভাবিকে আমি দেখব আপনাদের সমস্যা কী। এই নিয়ে কথা কাটাকাটির মধ্যে বরের ফুপাতো ভাই চাঁন মিয়া এসে বলেন, আমাদের বউ আমরা দেখব, কে ফেরাবে, কার এত বড় সাহস? এই কথায় মেয়ে পক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে চাঁন মিয়ার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। দুই পক্ষের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর নতুন বউ নিয়ে সবাই ওই বাড়ি ত্যাগ করেন।

বর ছাত্রলীগ নেতা শাহ আলম তালুকদার বলেন, অনেকে বলছেন বরযাত্রী হিসেবে বেশি লোক যাওয়ায় আমাদের মারধর করা হয়েছে। এ তথ্য ঠিক না। আমাদের সঙ্গে মেয়েপক্ষের ১৩০ জন মানুষ যাওয়ার চুক্তি হয় এবং আমরা ১৩০ জন লোকই নিয়ে যাই। খাওয়া-দাওয়া শেষ হওয়ার পর বউ দেখা নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে মারধর পর্যন্ত গড়ায়। যারা মারধর করেছেন তারা আমার শ্বশুরবাড়ির দিক থেকে দূরসম্পর্কের আত্মীয়। যারা আসেই ভেজাল লাগাইতে। এ ঘটনায় আমরা ও আমাদের শ্বশুরবাড়ির লোকজন লজ্জিত ও বিব্রত। শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক রয়েছে।

কাইচাইল ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা খান বলেন, বিয়ে বাড়িতে মারধরের কথা শুনেছি। তবে আমার দাওয়াত ছিল না বলে যাওয়া হয়নি তাই এর বেশি কিছুই জানি না।

নগরকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ আমিনুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।