নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মই দিয়ে সড়ক বিভাজন বা ডিভাইডার পার করে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা সেই যুবককে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
আটককৃত যুবকের নাম রবিউল (২৬)। তিনি চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই থানার আলতাব হোসেনের ছেলে। এ ছাড়া দুটি মই জব্দ করা হয়।
রোববার (১৭ মার্চ) রাতে তাকে আটক করা হয়। কাঁচপুর হাইওয়ে শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ একেএম শরিফুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মহাসড়কের ডিভাইডারের পাশে মই দিয়ে যাত্রী ও পথচারী পারাপারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিও তে দেখা যায়, সড়ক ডিভাইডারের পাশে হেলান দিয়ে একটি মই রাখা হয়েছে। সেই মই বেয়ে নেমে মহাসড়ক পার হচ্ছেন যাত্রীরা। এর বিনিময়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন এক যুবক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৫ টাকার বিনিময়ে এভাবে মই দিয়ে যাত্রী ও পথচারী পারাপার করছেন ওই যুবক। গতবছরের মাঝামাঝি সময়ে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো সরাসরি যেন ঢাকায় যেতে পারে, সেজন্য চার লেনের ঢাকামুখী সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজ থেকে কুয়েতপ্লাজা এলাকা পর্যন্ত উঁচু ডিভাইডার দিয়ে দুই লেন বিভক্ত করে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে আঞ্চলিক যানবাহন চলাচলের জন্য আরও দুই লেন রাখা হয়। এতদিন দূরপাল্লার লেন থেকে আঞ্চলিক লেনে যাত্রীদের চলাচলের জন্য সড়ক ও জনপদ (সওজ) কার্যালয়ের সামনে একটি গেট খোলা রাখা হতো।
ওখানে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো শিমরাইল মোড়ের যাত্রীদের নামিয়ে দিত। কিন্তু গত দুই মাস ধরে তা বন্ধ করে রেখেছে সওজ কর্তৃপক্ষ। তবে দূরপাল্লার যানবাহন গুলো এখনো ওই স্থানেই যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। এতে প্রায় সময় যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এ সুযোগে কয়েকজন অসাধু পরিবহন শ্রমিক ডিভাইডারের দুই পাশে মই দিয়ে টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের পার করে দিচ্ছেন।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দিন বলেন, হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মই উদ্ধার করেছে। ওই যুবককে আমরা আটক করেছি। তার বিরুদ্ধে মামলা হবে। সে ৫ টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে সড়ক পারাপার করেছে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা সেখানে কাটা তারের বেড়া দিয়ে দেবেন।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, এর আগেও একাধিকবার এভাবে মই বসিয়ে যাত্রী পারাপার করা হয়েছিল। পরে আমরা আনসার দিয়ে মইগুলো জব্দ করি। বিষয়টি নিয়ে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |