এক বছরে দেশে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ। যার সিংহভাগই হয়েছে ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য উঠে আসে। যদিও পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে সাফল্য নেই সংস্থাটির।
দেশ থেকে অর্থপাচারের আলোচনা জোরালো হয়েছে কয়েক বছর ধরে। যার বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনেও। এসব পাচারের মূল মাধ্যম হিসেবে দায়ি করা হয় আমদানি-রপ্তানি বা সার্বিক বাণিজ্যকে।
তবে এ প্রবণতা যে সময়ের সঙ্গে আরো বড় হচ্ছে, তা পরিষ্কারভাবে উঠে এলো বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের বার্ষিক প্রতিবেদনে। যেখানে বলা হয়, সবশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ১০৬টি। আগের অর্থবছরে যা ছিল ৮ হাজার ৫৭১টি। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ।
বিআইএফইউয়ের অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসেন বলেন, আলোচ্য বছরে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে। গত বছরের চেয়ে যা প্রায় ৬৫ শতাংশ। তবে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে- এ কথা বলা যাবে না। কিন্তু প্রতিবেদন প্রকাশকারী সংস্থাগুলোর সচেতনতা বেড়েছে।
বিএফআইইউয়ের তথ্যমতে, শনাক্ত হওয়া ১৪ হাজার লেনদেনের মধ্যে কেবল ব্যাংকের মাধ্যমেই হয়েছে পৌনে ১৩ হাজারের ওপরে। অথচ আগের বছর তা ছিল মাত্র ৮ হাজার। কামাল হোসেন বলেন, ঋণ নিয়ে অনেকে বিদেশে পাচার করে। এ ধরনের বিষয় শনাক্তে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নানা পরামর্শ দিয়েছি আমরা। ফলে সংখ্যাটা অনেক বেড়েছে।
লেনদেন শনাক্তের পাশাপাশি পাচার হওয়ার অর্থ দেশে ফেরানোও অন্যতম দায়িত্ব সংস্থাটির। তবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে সেই কাজে তেমন কোনো সাফল্য দেখাতে পারেনি বিএফআইইউ। যার কারণ হিসেবে অন্য দেশগুলোর আইনি জটিলতাকে দুষছেন ইউনিট প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।
তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরে একটা অর্থ পাচার হয়েছিল, সেটা আমরা ফেরত আনতে পেরেছি। কিন্তু নানা জটিলতায় অন্যান্য দেশ থেকে তা আনা যাচ্ছে না। এখন মূলত প্রতিরোধের দিকে নজর দেয়া হচ্ছে। যেন পাচার না হয়। ওভার ইনভয়েসিং, আন্ডার ইনভয়েসিং, হুন্ডি, এমএফএসগুলো যদি বেশি মাত্রা অপব্যবহার না হয়, তাহলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মানিলন্ডারিং কমে আসবে।
উল্লেখ্য, বছর ব্যবধানে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমেও সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে দ্বিগুণ।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |