
সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়ার আন্দোলনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আসেন শিক্ষিকা শাহিনুর আক্তার শ্যামলী। এক গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকরা দেশি মুরগি খেতে পারেন না’-তার এই মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহিনুর আক্তার শ্যামলী চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ গার্লস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক। তার স্বামী কুমিল্লার বড়ুয়া এলাকার একটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক।
শ্যামলীর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাসারা গ্রামের মোল্লা বাড়িতে। তার এক মেয়ে ঢাকায় একটি কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে পড়াশোনা করছে এবং ছোট ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তার বড় ভাই সালাউদ্দিন মোল্লা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন, আর ছোট বোন সোহেলি চট্টগ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা।
শ্যামলীর নিজ এলাকায় রয়েছে একতলা পাকা বাড়ি, আর শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লার বড়ুয়ায় রয়েছে দুইতলা ভবন। এছাড়া হাজীগঞ্জ বাজারের ডিগ্রি কলেজ রোডে ‘আরাম কটেজ’-এর পাশে তার ছয়তলা নিজস্ব ভবন রয়েছে। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি একটি বিউটি পার্লার পরিচালনা করেন বলেও জানা গেছে।
স্থানীয় ও সহকর্মীদের মতে, শাহিনুর আক্তার শ্যামলী দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সমাজের অধিকার আদায়ে সক্রিয়। আন্দোলনের মাঠে তিনি বলিষ্ঠ ও আপোষহীন নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করে আসছেন। হাজীগঞ্জ উপজেলাতেই নয়, দেশের বিভিন্ন আন্দোলনেও তার উপস্থিতি রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় তুললেও দেশি মুরগি খাওয়া’ মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন শাহিনুর আক্তার শ্যামলী। তিনি বলেন, ‘আমি একজন শিক্ষক প্রতিনিধি। আমি দীর্ঘদিন এই পেশায় জড়িত। এখানে আমি ব্যক্তি শাহিনুরের কথা বলিনি। আমি আন্দোলনের সময় এই মন্তব্যের মাধ্যমে সব শিক্ষকদের কষ্ট ও ক্রন্দন বোঝাতে চেয়েছি।’












































