প্রচ্ছদ হেড লাইন দাফন নিয়ে জটিলতা কাটল মনি কিশোরের, পরিবারের নতুন সিদ্ধান্ত

দাফন নিয়ে জটিলতা কাটল মনি কিশোরের, পরিবারের নতুন সিদ্ধান্ত

হেড লাইন: নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় গায়ক মনি কিশোর আর নেই। রাজধানীর রামপুরার নিজ বাসা থেকে শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে তার মরদেহ উদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে দাফন জটিলতায় মনি কিশোরের মরদেহ তিনদিন ধরে পড়ে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে । দাফন নাকি সৎকার এমন প্রশ্নে নিয়েও ছিল জটিলতা। মেয়ে দেশর আসা না আসা নিয়েও কথা উঠছিল। সবমিলিয়ে শিল্পীর দাফন বিলম্ব হচ্ছিল। অবশেষে সকল জটিলতার অবসান হয়েছে। জানা গেছে বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মনি কিশোরের দাফন করা হবে। এমন তথ্য জানিয়েছেন গীতিকার মিল্টন খন্দকার।

দাফন প্রসঙ্গে এই গীতিকার দেশের একটি সংবাদমাধ্যমে বলেন, মনি কিশোরের মেয়ে নিন্তী চৌধুরী সরকারীভাবে একটি কাগজ পাঠিয়েছেন। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে থানা কর্তৃপক্ষ কাগজটি পেয়ে যাবে। পেতে পেতে হয়তো রাত হয়ে যাবে। রাতে তো আর দাফন সম্ভব নয়। আশা করছি আগামীকাল জোহরবাদ তার নামাজে জানাযা ও দাফন হবে। এ বিষয়ে আগামীকাল সকালে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে চাই। যাতে তার জানাজা ও দাফনে সবাই উপস্থিত থাকতে পারেন।

মনি কিশোরের দাফন কোথায় হবে এ বিষয়ে মিল্টন খন্দকার বলেন, ইতোপূর্বে মনি কিশোরের লাশ আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে লাশ দাফন কথা প্রচার হচ্ছিল। এটি আসলে ভুল তথ্য ছিল। মনি কিশোরের ভাই এটি ভুল করে বলেছিলেন। এখন পারিবারিকভাবে দাফনের চেষ্টা চলছে। দাফনের জন্য প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী গোরস্তানের কথা ভাবা হয়েছিল। সেখানে অনেক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে বলে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছি। রামপুরা অথবা বনশ্রীর কোন একটি গোরস্থানে এখন দাফন করতে চাই। সরকারী কাগজটি হাতে পেলেই দাফনের স্থানটি সবাইকে জানিয়ে দিবো।

ক্যারিয়ারের শুরুতে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মনি কিশোর। শামীমা চৌধুরীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। দেড় যুগ আগে সেই সম্পর্কের ইতি ঘটে। আর তার সঙ্গে বিয়ের সময় ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন তিনি। তবে ধর্মান্তরিতের প্রমাণ না থাকায় দাফন নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। আর এই সমস্যার সমাধানে মনি কিশোরের একমাত্র মেয়ে দেশে ফেরার অপেক্ষায় ছিল গায়কের পরিবার।

মিল্টন খন্দকার বলেন, শুরুতে বলা হয়েছিল, মনি কিশোরের মেয়ে দেশে এলেই দাফন হবে। আমরার আশা করেছিলাম মেয়ে দেশে আসবেন। কিন্তু তার পরীক্ষা চলার কারণে তিনি আসতে পারবেন না। এ কারণে সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশ অ্যাম্বাসিতে লাশ দাফনের জন্য লিখিত দিয়েছেন। বাংলাদেশ অ্যাম্বাসী সেটি ঢাকায় পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিটা এখন যাবে থানায়। এরপর হবে লাশ দাফন।

সূত্র : Channel 24

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।