প্রচ্ছদ জাতীয় থানায় চোখ বেঁধে আসামিকে মারধর, এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা

থানায় চোখ বেঁধে আসামিকে মারধর, এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা

থানার ভেতরে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমানকে আসামি করে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন ভুক্তভোগী মোর্শেদ মঞ্জুর। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় ২০১৩ সালের নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনের ৪/৫/৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। মামলার অভিযোগে বাদী নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বলে উল্লেখ করেন। তিনি ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি পূর্ব পরিচিত বিদিশা সিদ্দিকার কাছ থেকে একটি জাগুয়ার প্রাইভেট কার ৩৯ লাখ টাকায় ক্রয় করেন। গাড়ির টাকাসহ নাম পরিবর্তন বাবদ আরও এক লাখ পঁচানব্বই হাজার পরিশোধ করেন।

কিন্তু বিদিশা সিদ্দিকা মিথ্যা তথ্য দিয়ে গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় গত ২০ এপ্রিল অনুমান সন্ধ্যা ৭টার সময় ডিবি পুলিশ তাকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানায় নিয়ে আসে। সেখানে গাড়ি উদ্ধারের নামে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাফিজুর রহমান গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে মানসিকভাবে নির্যাতনসহ শারীরিকভাবে কিল, ঘুষি এবং লাঠি দিয়ে মারধর করে নিলা ফুলা জখম করেন। এ সময় তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ক্রসফায়ারে হত্যা করার হুমকি দেন।

অভিযোগে তিনি আরও উল্লেখ করেন, একপর্যায়ে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতনের সময় ছবি ধারণ করে বিভিন্নজনের কাছে পাঠান। মারধরের কথা আর কাউকে না বলতে হুমকি দেন। একপর্যায়ে আমাকে কালো রঙের একটি ইলেকট্রিক মেশিনের মাধ্যমে শক দিলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। শারীরিক ও মান নির্যাতনের কারণে দৈনন্দিন তিনি স্বাভাবিক কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন।