হেড লাইন: উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ সপ্তাহেই বিদেশের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। ইতোমধ্যেই তিনি সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এই তিন দেশের ভিসা পেয়েছেন। সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার আগে বা পরে ওমরাহ করার জন্য সৌদি আরব যেতে পারেন। এ জন্য তিনি সৌদি আরবের ভিসা নিয়েছেন। তার আগেই তিনি লন্ডনের ভিসা নিয়েছেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ছেলে তারেক রহমানসহ স্বজনদের সঙ্গে কিছুদিন সময় কাটানো ও বিশ্রাম শেষে তিনি লিভারের জটিল চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন। সে জন্য সম্প্রতি ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে গিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে সেদেশের ভিসা সংগ্রহ করেছেন। শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে এ সপ্তাহের ১২ অথবা ১৩ তারিখ খালেদা জিয়া বিদেশের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়তে পারেন।
সূত্র মতে, খালেদা জিয়া লন্ডন যাওয়ার আগে ওমরাহ করতে সৌদি আরব গেলে লন্ডন থেকে তারেক রহমানও সৌদি আরব আসতে পারেন। আবার খালেদা জিয়া আগে লন্ডন গেলে তাঁর চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পথে তারেক রহমনসহ পরিবারের সদস্যরা সৌদি আরবে এসে ওমরাহ করতে পারেন। এ বিষয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি আগে থেকেই নিয়ে রাখা হয়েছে।
এর আগে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়া ৮ নভেম্বর লন্ডন যাচ্ছেন বলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। অবশ্য ৭ নভেম্বর বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি এম এ মালেক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও ভিসা পাওয়ার পরও শারীরিক অবস্থার কারণে চিকিৎসকদের পরামর্শে ৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়া হচ্ছে না। পরে দলের কোনো কোনো নেতা জানান, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আরও পরে জানানো হয় ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তায় তিনি বিদেশে যাচ্ছেন।
এদিকে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে দেখার অপেক্ষায় আছেন তাঁর ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পুরো পরিবার। যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীরাও এ অপেক্ষায় আছেন। এ ছাড়া লন্ডন ও যুক্তরাষ্ট্রে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য যেই চিকিৎসকদের আগে থেকে জানিয়ে রাখা হয়েছে তারাও তাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, চিকিৎসার জন্য প্রথমে খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হলেও সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মাল্টি ডিসেপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে। সেখানে তাঁর লিভারের জটিল চিকিৎসা করানো হবে। খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাবেন বলেই বিএনপি ও খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ ঠিক করে রাখা হয়। এ ছাড়া তাঁর চিকিৎসার কাজে সহযোগিতার জন্য মেডিক্যাল বোর্ডের ৭ চিকিৎসক এবং নার্স, সহকারী ও স্বজনসহ ১৬ জনের ভিসা করা হয়। যারা খালেদা জিয়ার সঙ্গে যাওয়ার কথা তাদের মধ্যে রয়েছেন চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের ৭ জন চিকিৎসক – অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, প্রফেসর ডা. শাহাবুদ্দিন, অধ্যাপক ডা. শামসুল আরেফিন, ডা. নূর উদ্দিন, প্রফেসর ডা. এফ এম সিদ্দিক, ডা. জাফর ও ডা. আল মামুন। এ ছাড়া ৩ জন নার্স। আরও যাওয়ার কথা ছিল প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিথি, দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত গৃহকর্মী ফাতেমা ও রূপা।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস, কিডনি, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিক্যাল বোর্ডের পরামর্শে তাঁকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল বোর্ডের টিমে দেশের বেশক’জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াও লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী কার্ডিওলস্টি ডা. জোবাইদা রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার ক’জন চিকিৎসকও রয়েছেন। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার জটিল চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে এমন এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশে পাঠানো হবে। সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা থাকবে বিদেশের মাল্টি ডিসেপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে। প্রথমে ম্যাডামকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে যাত্রা বিরতির পর মাল্টি ডিসিপ্লিনারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে।
২০২১ সালে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বেশ ক’বার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন খালেদা জিয়া। করোনাক্রান্ত হয়ে ওই বছর ১৫ এপ্রিল এক ঘণ্টার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে সিটি স্ক্যান করানো হয়। রিপোর্ট ভালো আসায় ওই দিন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট ভালো না আসায় ওই দিনই তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। ৫৪ দিন পর খালেদা জিয়াকে হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় ১৯ জুন।
১১৫ দিন পর দ্বিতীয় দফায় ২০২১ সালে ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়া আবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর শরীরের একটি অংশের চামড়া ফোসকার মতো (চাকা) হয়েছিল। এ জন্য ২৫ অক্টোবর এভার কেয়ার হাসপাতালে তাঁর বায়োপসি করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৭ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসায় ফেরেন ওই বছর ৭ নভেম্বর। এর পর ১৩ নভেম্বর আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ৮১ দিন চিকিৎসা নেন তিনি। তখন হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই তিনি সিসিইউতে ছিলেন। শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ২০২২ সালের ৯ জানুয়ারি তাঁকে সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়। ৮১ দিন হাসপাতালে থাকার পর ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গুলশানের বাসায় ফিরেন খালেদা জিয়া।
২০২২ সালের ৬ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে রেডিওলজিক্যাল পরীক্ষা, ইমেজিং, ব্লাড ও ইউরিন টেস্ট, লিভার ফাংশন টেস্ট, কিডনি ফাংশন টেস্ট, হার্টের টেস্টসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করান খালেদা জিয়া। এরপর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা চিকিৎসা ব্যবস্থায় সামান্য পরিবর্তন আনেন। ১০ জুন রাত সোয়া ৩টায় বুকের ব্যথা নিয়ে চতুর্থ দফায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। ১১ জুন এনজিওগ্রামের পর তাঁর হার্টে ৩টি ব্লক ধরা পড়লে ওইদিনই একটি ব্লকে রিং পরানো হয়। পরদিন দ্রুত এনজিওগ্রাম করে তাঁর হৃদপিন্ডে ৩টি ব্লক পাওয়া যায়। এর মধ্যে একটি ব্লকে রিং পরানো হয়। রিং পরানোর ক’দিন পর তাঁকে কেবিনে নেওয়া হয়। কেবিনে রেখেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা চালায় মেডিক্যাল বোর্ড। এভারকেয়ার হাসপাতালে টানা ১৪ দিন চিকিৎসা শেষে ২৪ জুন গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর পর ২২ আগস্ট স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে পরীক্ষা শেষে রাতেই আবার বাসায় ফেরেন তিনি। এর পাঁচ দিন পর ২৭ আগষ্ট আবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসার পর ৩১ আগস্ট তিনি বাসায় ফেরেন। ২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষার পর গুলশানের বাসায় ফিরে যান খালেদা জিয়া। ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আবার এভারকেয়ার হাসপাতালে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসা বোর্ডের পরামর্শে ওই দিন রাতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিবিড় পর্যবেক্ষণে ৬ দিন চিকিৎসার পর ৪ মে আবার তিনি গুলশানের বাসায় চলে যান। এর পর আবারও ১৩ জুন তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ৫ দিন চিকিৎসা শেষে ১৭ জুন বাসায় ফিরেন। ৫৩ দিন পর ৯ আগস্ট আবারও চিকিৎসার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। প্রয়োজনীয় শারীরিক পরক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওই দিনই হাসপাতালে ভর্তি হন। ৫ মাস ২ দিন পর এ বছর ১১ জানুয়ারি তিনি হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন।
এ বছর ৮ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সেদিনই তিনি গুলশানের বাসায় ফিরোজায় ফেরেন। এর পর ১৩ মার্চ এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। একদিন পর ১৪ মার্চ তিনি বাসায় ফেরেন। ৩০ মার্চ দিবাগত রাত ৩টায় আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা শেষে ২ এপ্রিল বাসায় ফেরেন তিনি। এর পর ১ মে সন্ধ্যায় এভারকেয়ংার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ২ মে রাতে তিনি বাসায় ফেরেন। ২১ জুন গভীর রাতে আবারও এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ১১ দিন চিকিৎসা শেষে ২ জুলাই সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। ২৩ জুন তাঁর হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। ৮ জুলাই খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন এবং ৪৫ দিন পর ২১ আগস্ট গুলশানের বাসায় ফেরেন। এর আগে হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের একদিন পর ৬ আগস্ট মুক্তি পান খালেদা জিয়া। সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর রাত ২টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা শেষে ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বর্তমানে সপরিবারে লন্ডনে অবস্থান করছেন। চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলে দীর্ঘ ৮ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা হবে। ২০২০ সালে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সাময়িক মুক্তির পর গুলশানের বাসা ফিরোজায় অবস্থানকালে করোনা আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার পর পরিবারের সদস্যরা তঁকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বেশ ক’বার আবেদন করলেও আওয়ামী লীগ সরকার সে সুযোগ দেয়নি। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা করেছে বলে বিএনপি কার্যালয় সূত্র জানায়। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের রাজকীয় আমন্ত্রণে সপরিবারে ওমরা পালন করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তখন লন্ডন থেকে তারেক রহমানও ওমরাহ করতে আসলে মা-ছেলের দেখা হয়। পরের বছর ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই যুক্তরাজ্যে যান খালেদা জিয়া। ২ মাস সেখানে অবস্থান করে ১৮ই অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি। সেই সময় খালেদা জিয়া লন্ডনের ডা. হ্যাডলি ব্যারির অধীনে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। তবে এবার লন্ডন ও যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এ বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলছেন। ১১ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশে ফিরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বিদেশে তাঁর চিকিৎসার বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |