লিবিয়া থেকে সাগরপথে ইউরোপ যাওয়ার সময় তিউনিসিয়া উপকূলে নৌযানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ অভিবাসী নিহত হয়েছেন। নিহতদের ৮ জন বাংলাদেশি এবং ১ জন পাকিস্তানি নাগরিক। এ ঘটনায় ২৭ বাংলাদেশিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। দূতাবাসের একটি টিম তিউনিসিয়া উপকূল এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে বাংলাদেশিদের মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।
নিহতেরা হলেন- মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শেনদিয়া গ্রামের সজল, কদমবাড়ি উত্তরপাড়া গ্রামের পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস, সরমঙ্গল গ্রামের মামুন সেখ, কবিরাজপুর ইউনিয়নের কেশরদিয়া গ্রামের কায়সার, বাজিতপুর নতুন বাজার ইউনিয়নের তেলিকান্দি গ্রামের কাজী মিজানুরের ছেলে কাজি সজীব, সরমঙ্গল গ্রামের মামুন সেখ।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাগদী ইউনিয়নের বড়দিয়া গ্রামের দাদনের ছেলে রিফাত, দিগনগর ইউনিয়নের ফতেহপট্রি গ্রামের রাসেল, গঙ্গারামপুর গোহালা ইউনিয়নের গয়লাকান্দি গ্রামের ইমরুল কায়েস।
এছাড়া মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম গ্রামের মনোরঞ্জন সরকারের ছেলে মনতোষ সরকার মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সেই সঙ্গে পাসপোর্টবিহীন বাংলাদেশি রয়েছেন ৭ জন।
ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একটি অভিবাসী দল নৌকায় করে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় লিবিয়া থেকে সাগরপথে ইউরোপ যাত্রা করে। যাত্রাপথে নৌকাটি তিউনিসীয় উপকূলে গেলে মধ্যরাত সাড়ে ৪টার দিকে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। নৌকাটিতে মোট ৫৩ জন ছিল। দুর্ঘটনার পর চালকসহ ৫৩ জনের মধ্যে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ২৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। বাকিদের মধ্যে পাকিস্তানের ৮ জন, সিরিয়ার ৫ জন, মিসরের ৩ জন ও নৌকা চালক রয়েছেন (মিশরীয় নাগরিক)। ওই ঘটনায় নৌকায় থাকা ৯ জন যাত্রী মারা গেছেন। এদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
দূতাবাস আরও জানায়, উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং আইওএমের সঙ্গে কাজ করছে তারা।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |