প্রচ্ছদ জাতীয় তফসিল ঘোষণার ইঙ্গিত দিলেন সিইসি

তফসিল ঘোষণার ইঙ্গিত দিলেন সিইসি

নির্বাচনী দিকনির্দেশনার জন্য প্রধান উপদেষ্টার চিঠির অপেক্ষায় থাকার কথা উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভোটের তারিখের দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে।

সিইসি বলেন, ভোটার লিস্টটা হয়ে যাচ্ছে। প্রকিউরমেন্ট টার্গেট ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ করে ফেলতে পারব। টেন্ডার হয়ে গেছে। তারপরে ডিলিমিটেশন (সীমানা নির্ধারণ) স্বচ্ছভাবে হয়েছে। শুনানি করে শেষ করা হভে। একটা বড় কাজ হয়ে গেছে, পার্টি রেজিস্ট্রেশন। ইতোমধ্যে যাচাই-বাছাই চলছে। যারা শর্ত পূরণ করতে পারবে, তাদের বিষয়ে তদন্ত হবে, এরপর কারও আপত্তি আছে কি না, ১৫ দিনের বিজ্ঞপ্তি হবে। এসব বড় কাজ বাই সেপ্টেম্বর, ইনশাআল্লাহ উই ওয়ান্ট টু কমপ্লিট অল দিস বিগ টাস্ক।

তিনি বলেন, ভোটের কাজে সম্পৃক্ত ৮ থেকে ৯ লাখ লোকবলের প্রশিক্ষণের কাজও শুরু হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার পোস্টাল ব্যালটে ভোটের প্রস্তুতির বিষয়ও রয়েছে। আমরা এবার প্রায় ১০ লাখ লোকবলকে পোস্টাল ব্যালটের আওতায় নিয়ে আসর চেষ্টা করব। সাংবাদিকদের বিষয়টি জানা ছিল না; এটাও নোট রাখলাম।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমি যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার কথা বলছি, এটার বাস্তবায়ন আপনাদের ওপর নির্ভর করছে। আপনারা যদি এই কাজে যদি আমাকে সহযোগিতা না করেন, আমি তো এটা কাজটা করতে পারব না। আমাদের মূল মেসেজটা হচ্ছে, আমরা এবার এই ইলেকশনটাকে পার্টিসিপেটরি করতে চাই। ভোটারদের ব্যাপক অংশগ্রহণ আমরা চাই।

তিনি আরও বলেন, মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নাম্বার ওয়ান চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। আসলে মানুষের তো দোষ দিয়ে লাভ নেই, ভোটারদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। ভোটাররা নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা হারিয়েছে। নির্বাচনব্যবস্থার ওপর আস্থা হারিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা যে বলেছেন উৎসবমুখ পরিবেশে ঈদের দিনের মতো একটা ইলেকশন দেখতে চান, আমরা সেইটা সামনে রেখেই আমরা কাজ করছি।

এআই নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কমিশন এআইয়ের অপব্যবহার রোধে কাজ করে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের কর্মকাণ্ড যতই তারা আরও দেখবে ভবিষ্যতে দেখবেন আমাদের ওপর আস্থা সৃষ্টি হবে। কারণ আমরা যখন প্রফেশনালি নিউট্রালি কাজ করছি, তখন অটোমেটিক্যালি আস্থা আসবে, ফিরে আসবে। আমরা কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। রাজনৈতিক নেতারা অনেক কথা বলতে পারেন, উনাদের ইচ্ছা বললে কোনো অসুবিধা