সাম্প্রতিক কালে পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের দুর্নীতি কাণ্ডের অভিযোগ এবং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যখন সরগরম দেশ তখন সমসাময়িক এই দুই ইস্যুকে ঘিরে মিড টার্মের প্রশ্ন এসেছে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২৩ শিক্ষা বর্ষের মাস্টার্স শ্রেণির ‘থিউরিস অফ সোশ্যাল চেঞ্জ’ বা সমাজ পরিবর্তন তত্ত্ব (এসওসি ৫০২) বিষয়ে।
ঢাবি থেকে শুরু ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপ এবং পেজে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে প্রশ্নটি। এই নিয়ে নেটিজেনদের প্রশংসায় ভাসছেন প্রশ্ন কর্তা। তিন ঘণ্টাব্যাপী ৪০ নম্বরের পরীক্ষাটির প্রশ্নপত্রে দেখা যায়, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৫ কোটি টাকায় বাংলাদেশের সংসদ খুন’ এই শিরোনামে ২৪ মে তে ভারতীয় গণমাধ্যম মাধ্যম এনডিটিভির প্রকাশিত খবরটির অনেকটা অংশ উদ্ধৃতি করে, প্রথম প্রশ্নটিতে শিক্ষার্থীদের ঘটনাটিকে সমসাময়িক বাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তনকে মার্ক্স, ফ্রয়েড, মার্কুজা এবং হার্ভির তত্ত্বের আলোকে বিচার করতে বলা হয়েছে।
২য় প্রশ্নটিতে, ২৯ মে সময় টিভির প্রকাশিত খবর ‘বেনজির দুর্নীতি: দুদকের অতি তৎপরতায় কী বার্তা দিচ্ছে সরকার’ শিরোনামসহ অংশবিশেষ উদ্ধৃতি করে, শিক্ষার্থীদেকে মার্ক্স এবং হার্ভির তত্ত্ব অনুযায়ী বাংলাদেশে সম্পদ অর্জনের কৌশল বিশ্লেষণ করতে বলা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে গত ৩ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) মিডটার্ম পরীক্ষায় ওই প্রশ্ন আসে। এবং ওই প্রশ্নটি করেছেন অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, স্যার যে প্রশ্ন করেছে সেটা আমাদের কোর্সের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। কালমার্কসসহ বিভিন্ন মনীষীদের উক্তির সাথে সামঞ্জস্য রেখে তিনি এ প্রশ্ন করেছেন। এই প্রশ্ন করার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে কোনো মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। স্যার যে প্রশ্ন করেছেন এটি সত্য ও বাস্তবতার নিরিখে।
এদিকে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহিবুর রহমান শোয়েব নামে এক শিক্ষক প্রশ্ন পত্রের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, এইরকম একটা প্রশ্ন করার সাহস দরকার। দুষ্ট রাজনীতি, নিজে বিপদে পড়ার ভয়, সমালোচিত হওয়ার ভয়, নিজের অপারগতা ইত্যাদি ইত্যাদি কারণে করাও যায় না
সার্বিক বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার (৪ জুন) কথা হয় অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ নিয়ে এতো আলোচনা হওয়ার কিছু দেখছি না। আমি শিক্ষার্থী যেই কোর্স পড়িয়েছি তার সঙ্গে সম্পর্কে রেখে এবং নিয়ম মেনে প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে। বাস্তবতার নিরিখে শিক্ষার্থীদের কোর্স পড়ানো হয়েছে তার প্রশ্নগুলোর ধরন ও গভীরতা বুঝে উত্তর করবে। তারা প্রশ্ন বুঝতে পারছে কি না, সেটাই আমার কাজের মূল্যায়ন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |