প্রচ্ছদ সারাদেশ ড. মুহাম্মদ ইউনূসে ভাষণের পর যে মন্তব্য করলেন ফারুকী

ড. মুহাম্মদ ইউনূসে ভাষণের পর যে মন্তব্য করলেন ফারুকী

সারাদেশ: দেশের গুণী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সমাজের বিভিন্ন চিত্র উঠে আসে তার লেখা এবং কনটেন্টে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন এই নির্মাতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন ফারুকী। স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের চলমান অবস্থা এবং উত্তরণের বিভিন্ন বিষয় নিয়েও কথা বলছেন তিনি। 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন ফারুকী। তার পোস্টে নতুন বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। 

ড. মুহাম্মদ ইউনূস সবার প্রতিনিধিত্ব করছেন উল্লেখ করে ফারুকী লিখেছেন, প্রফেসর ইউনুসের আজকের বক্তৃতা আমাকে অনেক বেশী আশ্বস্ত করেছে। তার কথার মধ্যে স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল ইনক্লুসিভনেসের। আজকে তাকে মনে হয় নাই উনি কেবল একটা গোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। এটা এই মুহূর্তে আমার বিবেচনায় সিগনিফিক্যান্ট কারণ আমি গত কিছুদিন অনুভব করছিলাম মানুষের একতার স্পিরিটটা একটু আলগা হয়ে আসছে।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ফেসবুক পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত

মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ফেসবুক পোস্ট। ছবি: সংগৃহীত

আন্দোলনের বিষয়ে বলেন, যেদিন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে ছাত্রদের বের করে দিয়েছিলো হাসিনা, সেদিন থেকে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, বিএনপি, বাম দল, জামাতসহ সব রাজনৈতিক দল, শ্রমিক, গৃহিণী, অভিভাবকসহ সবাই যে স্পিরিট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো সেই স্পিরিটই ফ্যাসিস্ট শক্তির পতন ঘটায়। এই স্পিরিটটা আমি বন্যা পর্যন্ত দেখেছি। সবাই তখন দেশটা ওউন করছিল। কিন্তু এরপরেই ঘটে সাময়িক ছন্দপতন। কেমন সবাই হিজ হিজ হুজ হুজ হতে শুরু করলো।

ফারুকীর ভাষ্য, আমরা এখন নতুন সমাজ বানাতে চাই। ফলে আমাদের খোলাখুলি বলা উচিত এই ছন্দপতন শুরু হয় আন্দোলনের কৃতিত্ব এবং মাস্টারমাইন্ড বিষয়ক বিতর্কে। সময় এসেছে এই আত্মঘাতী কাজ থেকে বিরত থাকা। এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড আওয়ামী লীগ বাদে সবাই। বিভাজনের খেলা বন্ধ করি চলেন। মনে রাখবেন বিপ্লব সফল হয় অন্তর্ভুক্তিতে। বিপ্লব ঝুঁকিতে পড়ে বিভক্তিতে।

শেষে এ পরিচালক লিখেছেন, আওয়ামী লীগ বাদে যারা আছেন তারা একে অন্যকে আক্রমণ না করে, নিজেদের কর্মসূচি নিয়ে জনতার কাছে যান। জনতা যাঁদের ভোট দিবে তারা সরকার গঠন করবেন। যারা ভোট কম পাবেন তাঁদেরও ভূমিকা থাকা উচিত নতুন সহনশীল বাংলাদেশ নির্মাণে। এই মুহূর্তে আক্রমণ আক্রমণ খেলা সবাই বন্ধ করা জরুরি। যারা রাজনৈতিক দলে আছেন অলরেডি এবং যারা দল করবেন- দুই পক্ষেরই। এবং সবাই সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং প্রশাসনকে সাহায্য করেন।

সূত্র: Channel 24

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।