জাতীয়: বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকে ডিবি পরিচয়ে কর্মস্থল থেকে ‘তুলে নেওয়ার’ ৩২ ঘণ্টা পরও ওই কর্মকর্তার খোঁজ পাননি বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী।
তার স্ত্রীর ‘তুলে নেওয়ার’ অভিযোগের বিপরীতে পুলিশ বলছে, তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ নাজিমুল হক বুধবার রাত ১২টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তার একটা মামলার বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এবং কথা বলার জন্য ডেকে নিয়ে গেছে। এখানে তুলে নিয়ে যাওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি।”
তিনি বলেন, আলেপ উদ্দিন ডিআইজি রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত ছিলেন।
বরিশালের পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেনও বলছেন, তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
“তাকে ডিএমপির ডিবি কর্মকর্তারা ডেকে পাঠিয়েছেন। ডিবির কর্মকর্তারাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।”
এ বিষয়ে ডিবির কর্মকর্তারা কিছু বলছেন না। ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, “আলেপ উদ্দিনের বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।”
আলেপের স্ত্রী ওয়াফা নুসরাতের অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে তাকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আর খোঁজ মিলছে না। বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত তার খোঁজ পাননি তিনি।
বিসিএস পুলিশের ৩১ ব্যাচের আলেপ উদ্দিন ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আগে পুলিশের বিশেষ শাখায় কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি র্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ ও র্যাব-১১ তে কর্মরত ছিলেন।
‘তুলে নেওয়ার’ পর থেকে বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত আলেপের হদিস না পাওয়ার কথা জানিয়ে তার স্ত্রী ওয়াফা নুসরাত বলেন, “মঙ্গলবার দুপুরে তার সঙ্গে কথা হয়। তখন তিনি জানান, বরিশালের ডিবি তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর থেকে তার আর খোঁজ মিলছে না।”
নুসরাত বলেন, “ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি পুলিশের মাঠ পর্যায়ের (অপারেশনাল) কোনো ইউনিটে কাজ করছিলেন না। তাকে ফাঁসানো হতে পারে।”
আলেপের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই দাবি করে তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগে বা মামলায় তাকে তুলে নেওয়া হয়েছে কিনা, সে বিষয়েও তার কোনো ধারণা নেই।”
সূত্র : bdnews 24
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |