
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিখোঁজ হন তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আফসান ওহির মা আফসানা আক্তার প্রিয়া (২৮)। সন্তানকে স্কুল থেকে বাসায় আনতে গিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার। যদিও এ ঘটনার পর থেকে আফসানার কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না পরিবার। সে আদৌ বেঁচে আছে নাকি মারা গেছে জানতো না পরিবার।
বিমান বিধ্বস্তের তিনদিন পর বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ জানায়, আফসানা আক্তার প্রিয়ার মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।
সিআইডির বিশেষ পুলশ সুপার জসিম উদ্দীন খান জানান, আফসানা আক্তার প্রিয়ার মরদেহ শনাক্তের জন্য তার বাবা মো. আব্বাস উদ্দিন ও মা মোসা. মিনু আক্তার ডিএনএ নমুনা দেন। এরপর আফসানা আক্তার প্রিয়ার মরদেহ শনাক্ত করা হয়।
স্কুলটির তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া আফসান ওহিকে আনতে তার মা আফসানা আক্তার প্রিয়া স্কুলে যান। বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই ওহির মা প্রিয়া নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর থেকেই মায়ের জন্য কান্নাকাটি করছে আফসান ওহি।
সিআইডি জানায়, উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের কারণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২২ জুলাই সিআইডির ডিএনএ ল্যাবের সদস্যরা ঢাকা সিএমএইচে রক্ষিত অশনাক্ত মরদেহ ও দেহাংশ থেকে মোট ১১টি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন। এ নমুনাগুলো বিশ্লেষণ করে মোট পাঁচ নারীর ডিএনএ প্রোফাইল পাওয়া যায়।
সংগৃহীত নমুনা থেকে প্রস্তুত প্রোফাইল ও ঘটনার পর থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৫টি পরিবারের মোট ১১ সদস্যের প্রোফাইল বিশ্লেষণ করে ৫টি মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
যাদের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে তারা হলেন– মো. ফারুক হোসেন ও সালমা আক্তার দম্পতির মেয়ে ওকিয়া ফেরদৌস নিধি, মো. বাবুল ও মাজেদা দম্পতির মেয়ে লামিয়া আক্তার সোনিয়া, মো. আব্বাস উদ্দিন ও মোসা. মিনু আক্তার দম্পতির মেয়ে আফসানা আক্তার প্রিয়া, মো. শাহাবুল শেখ ও মিম দম্পতির মেয়ে রাইসা মনি এবং আবদুল কাদির ও উম্মে তামিমা আক্তার দম্পতির মেয়ে মারিয়াম উম্মে আফিয়া।