
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ডাকসু, জাকসু ও চাকসুসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোটে আজ যা হয়েছে, তার প্রতিচ্ছবি জাতি আগামীতে দেখতে পাবে ইনশাআল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুর পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা-১৫ নির্বাচনী সমাবেশে তিনি যুব ও নারী সমাজকে ইসলামের প্রতি অধিক আস্থাশীল হিসেবে উল্লেখ করে এ মন্তব্য করেন।
শফিকুর রহমান বলেন, “যুবসমাজ এবং মায়েরা আজ ইসলামের আদর্শকে গভীরভাবে ধারণ করছে। তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনেই একই চিত্র দেখা গেছে — মেয়েরা ও তরুণরা ছাত্রশিবিরের ওপর আস্থা রেখেছে।”
তিনি আলোচনা চালিয়ে নারী জাতির মর্যাদা বাড়ানো এবং মহিলাদের রাষ্ট্র গঠনে সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
সমাজব্যাপী ইনক্লুসিভতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, যোগ্যতা আর নীতির ভিত্তিতে যে কেউ দেশের দায়িত্ব পাবে—সে তার দলের না হলেও চলবে, ধর্মের ভেদাভেদ গ্রাহ্য নয়।
“আমরা এমন একটা সমাজ চাই যেখানে শাসকরা জনগণের কাছে ক্ষমা চাইবে, বাহবা বা স্লোগানের পেছনে দৌড়াবে না, বরং দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করবে,” তিনি বলেন।
শফিকুর রহমান দেশের অর্থনীতি ও প্রশাসনিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধের কথা বলেন এবং বলছেন, দুর্নীতি নির্মূলে রাজনৈতিক ও সামাজিক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।
তিনি তৃতীয় অঙ্গীকার হিসেবে প্রত্যেক নাগরিককে ন্যায়-অধিকার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেন, যাতে আলোকিত ও সুশৃঙ্খল শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায়।
সমাবেশে তিনি দেশের উন্নয়ন, শিক্ষা ও নৈতিক জবাবদিহিতার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন—যুব ও নারীর অংশগ্রহণ যদি শক্তিশালী হয় তবে জাতিকে রূপান্তর করা সম্ভব। মিরপুর থেকে প্রতিবেদক জানান, সমাবেশে উপস্থিত গন্যমান্য নেতারা এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং ব্যাপক সমর্থন জানান।