অপরাধ: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার কোন্নগরে আট বছরের শিশুসন্তানকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন মা শান্তা শর্মা ও বান্ধবী ইফফাত পারভীন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি কোন্নগরের আদর্শনগরে বাড়িতে খুন হয় স্কুলছাত্র শ্রেয়াংশু শর্মা। ঘটনার তিন দিন পর শিশুটির মা ও মায়ের এক বান্ধবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মা শান্তা শর্মাকে রাখা হয়েছে উত্তরপাড়া থানায়। আর ইফফাত পারভিন বন্দি রয়েছেন শ্রীরামপুর মহিলা থানায়। জেরা করতে পারভিনকেও উত্তরপাড়া থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে এখনো পর্যন্ত কেউ হত্যার কথা স্বীকার করেননি।
পুলিশ সূত্রের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, দুজনই কারাগারের খাবার মুখে তুলতে চাইছেন না। সন্তান হত্যায় গ্রেফতার শান্তা চেয়েছেন বিরিয়ানি খেতে। তার বান্ধবী ইফফাত পারভিন খেতে চাইছেন চাইনিজ। এখনো কাউকেই ‘পছন্দের খাবার’ দেওয়া হয়নি। আর তাতে নাকি কেউই তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। ফলে তদন্ত বেশি দূর এগোচ্ছে না।
তদন্ত কর্মকর্তারা বলেন, জেলে মুখরোচক খাবার খেতে চেয়েছেন শান্তা শর্মা এবং তার বান্ধবী পারভিন। কেউ চাইছেন বিরিয়ানি খেতে। কেউ আবার চাইছেন চাইনিজ। জেলের ডাল-ভাত বা রুটি কোনো পদই তাদের পছন্দ নয়। আর পছন্দের খাবার না পেয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছেন দুজনই।
এর আগে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছিল, দাম্পত্য কলহ এবং শান্তা এবং পারভিনের সমকামী সম্পর্কের কারণে খুন হতে হয়েছে স্কুলছাত্র শ্রেয়াংশু শর্মাকে। তবে এখনো খুনের কথা স্বীকার করেননি শান্তা ও তার বান্ধবী।
শিশুখুনে অভিযুক্ত শান্তা এবং পারভিন ৯ দিনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। পুলিশ ইতোমধ্যে বেশ কিছু ক্লু ও তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে। তার ভিত্তিতেই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কিন্তু দুজনই তদন্তে অসহযোগিতা করছেন।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |