
বিয়ের পিঁড়িতে বসার প্রস্তুতি চলছিল রিমঝিম বড়ুয়ার। জীবনের নতুন অধ্যায়ের স্বপ্ন নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই স্বপ্ন গুঁড়িয়ে গেল সড়কে। সোমবার (১৬ জুন) কক্সবাজারের রামুতে কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন রিমঝিমসহ আরও দুই যাত্রী।
নিহত রিমঝিম বড়ুয়া (২১) রামু উপজেলার রাজারকুল ইউনিয়নের পূর্ব রাজারকুল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি হিমাংশু বড়ুয়ার মেয়ে এবং চার ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয়। একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় চাকরি করতেন এবং রোহিঙ্গা শিবিরে কর্মরত ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আগামী ৬ জুলাই রিমঝিমের বিয়ের তারিখ নির্ধারিত ছিল। বর পক্ষ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ভান্ডারগাঁও গ্রামের সানি বড়ুয়া উৎপল। বিয়ের কেনাকাটার উদ্দেশে রিমঝিম রামুর বাইপাস থেকে পূরবী পরিবহনের একটি বাসে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন। বাসটি রশিদনগর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। এতে বাসটি উল্টে গিয়ে সড়কের পাশে পড়ে যায়।
এতে রিমঝিমসহ নিহত হয়েছেন কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের খরুলিয়া দক্ষিণ পাতলী গ্রামের হাবিব উল্লাহ (৫৫) ও তার মাদ্রাসাপড়ুয়া ছেলে মো. রিয়াদ (১১)। রিয়াদ চট্টগ্রামের পটিয়ার একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী ছিল। ছেলেকে সেখানে পৌঁছে দিতে গিয়ে তিনিও দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈয়বুর রহমান বলেন, সকাল ৭টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। কাভার্ডভ্যানটি চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিল। ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়।
রামু তুলাতলী ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।
সূত্র: চ্যানেল২৪