
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে থেমে থাকা পণ্যবাহী জাহাজ থেকে উদ্ধার করা নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭ জনে দাঁড়িয়েছে।তাদের সবার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। কারও কারও ছিল গলাকাটা।
চাঁদপুর সদর থানার মেঘনা নদীতে জাহাজটি নোঙর অবস্থায় ছিল। চট্টগ্রাম থেকে সার নিয়ে জাহাজটি সিরাজগঞ্জের পথে ছিল। জাহাজের সার খোয়া যায়নি।নৌ পুলিশ জানায়, জাহাজটি চাঁদপুর সদর থানার মেঘনা নদীতে নোঙর করা অবস্থায় ছিল। সেটিতে সার পরিবহন করা হচ্ছিল।
নিহতরা হলেন- জাহাজের মাস্টার কিবরিয়া, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রীজার সজিবুল, আজিজুল ও মাজেদুল ইসলাম। নিহত একজনের নাম জানা যায়নি। আর আহত ব্যক্তি হলেন- জুয়েল। আহত ও নিহত ব্যক্তিদের বাড়ি নড়াইল জেলায়।
এদিকে জাহাজ থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে বিকেল ৪টার দিকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাদের মধ্যে দুইজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে নেয়ার পর একজন কাগজে লেখেন যে, তার নাম জুয়েল রানা (২৩)। গলা আংশিক কাটা থাকায় তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত জুয়েলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
ডাকাতি নাকি শত্রুতার কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, তা নিয়ে জানতে চাইলে জাহাজটির মালিক দিপলু রানা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, কারা ঘটিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে আসল ঘটনা বের করতে পারবে।’
নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, জাহাজে ডাকাতি করতে বাঁধা দেয়ায় তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। তিনি বলেন, আহত একজন হাতের ইশারায় জানিয়েছে তারা ৮ জন ছিলেন। ঘটনাটি কিভাবে হয়েছে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। ডাকাতি, কিংবা অন্য কোনো কারণে হতে পারে। তদন্ত করার পরে জানা যাবে।