প্রচ্ছদ জাতীয় জালাল প্রেসে ছাপা ব্যালট সরাসরি ব্যবহারের উপযোগী ছিল না- ফেরদৌস ওয়াহিদ

জালাল প্রেসে ছাপা ব্যালট সরাসরি ব্যবহারের উপযোগী ছিল না- ফেরদৌস ওয়াহিদ

নীলক্ষেতের মক্কা কাটিং হাউজ ও জালাল প্রেসে যিনি ডাকসুর কিছু ব্যালট পেপারের কাজ করিয়েছেন তার নাম ফেরদৌস ওয়াহিদ।

ওই ফেরদৌস ওয়াহিদ ডিইউ নিউজকে বলেছেন, জালাল প্রেস শুধু কিছু ব্যালটের প্রাথমিক প্রিন্টিংয়ের কাজ করেছে। জালাল যেগুলো ছাপিয়েছে সেগুলো কোনো মেশিন রিড করবে না। ব্যালট সদৃশ এই প্রিন্টিং করা পেপারগুলো নিয়ে আরও কয়েকধাপ পার করে তারপর এগুলোকে ব্যবহার উপযোগী ব্যালট করা হয়েছে।

ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, জালাল প্রেস যেগুলো ছাপিয়েছে সেগুলো ত মেশিনে রিড করবে না। এগুলোকে প্রি-স্ক্যান করার পর তারপর রিড করবে।

ওয়াহিদ বলেন, যে অবস্থায় ছেলেরা ব্যালট দেখেছে এসব শুধু ব্যালটের কাগজ। এগুলো মেশিনে রিড করবে না। এগুলোকে ওই দোকান থেকে নিয়ে গিয়ে কয়েকধাপ পার করে প্রি-স্ক্যান করে তারপর এগুলোকে ব্যবহার উপযোগী ব্যালট করা হয়েছে। এসব কাজ আমরা আমাদের অফিসে নিয়ে গিয়ে করেছি।

ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, আমাদের অফিসে নিয়ে গিয়ে প্রি স্ক্যান করার পরই আমরা এসব ব্যালট প্যাকেট করেছি। ডাকসুর ব্যালট পেপারের কাজ আপনারা কীভাবে পেয়েছেন জানতে চাইলে ওয়াহিদ বলেন, কাজটা আমরা পাইনি। পুরো কাজটা পেয়েছে আনজা কর্পোরেশন। আমরা পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান হওয়াতে তাদের কিছু ব্যালটে শুধু হেল্প করেছি।

ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, সময় কম ছিলো। তার উপর আমাদের মেশিনে সমস্যা করছিলো। তাই প্রাথমিক প্রিন্টিংয়ের কাজ আমরা নীলক্ষেত থেকে করেছি। কারণ সময়ও বেশি ছিলো না। তাই বাধ্য হয়ে প্রাথমিক কিছু কাজ এই জায়গা থেকে করেছি। ফাইনাল কাজ আমরা অফিসেই করেছি।

নীলক্ষেত থেকে কত ব্যালটের প্রাথমিক প্রিন্টিং করা হয়েছে জানতে চাইলে ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ৯৬ হাজার ত মোটেও না। জালাল হিসাব ভুল করে এই কথা বলেছে। আমাদের ৮৬ হাজার সামথিং ব্যালট দরকার ছিলো। তাই আমরা ২২ রিম ছাপাইছিলাম। ২২ রিমে সাধারণত ৮৮ হাজার হয়। কিন্তু কিছু নষ্ট হবে। এসব কারণে ৮৮ হাজারের কিছু কম হয়েছে।