
জামায়াতের হাতে আওয়ামী লীগের বিচার আমি চাই না বলে মন্তব্য করেছেন আমজনতার দলের সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, আজ জামায়াত ভোটাধিকার নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র করছে। তাদের পছন্দমত উপায়ে ছাড়া তারা ভোট হতে দেবে না। অর্থাৎ গণঅভ্যুত্থানে উত্থান বাংলাদেশকে তারা সুস্থ হতে দেবে না।
ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে প্রতিদিন বিদেশি কূটনৈতিকদের সঙ্গে মিটিং করছে। জামায়াতের হিন্দুস্তান আর লাহোরের অংশ সক্রিয় হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, মুক্তিযুদ্ধের বিপরীতে জুলাই নামে একটা কিছু খুব করে দাঁড় করানোর চেষ্টা বহু আগে থেকেই করে আসছে জামায়াত।
যেমন, একজন ব্যক্তি দিয়ে বলালেন, রাজাকার শব্দ এখন সম্মানের। কত বড় জালিম এরা ভাবতে পারেন। আর একজন বক্তা দিয়ে যুক্তি দাঁড় করাল, ২৪ এসে গেছে, এখন আর ৭১ এর বয়ান চলবে না। এই যখন অবস্থা, মুক্তিযোদ্ধাদের লাগাতার অসম্মান, কলার ধরে টানাটানি, তখন নিজের মাঝে পাপবোধ জাগে।
এক বড় গায়েবের সঙ্গে লড়াই করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে তাদের গায়েব বানিয়ে দিয়েছে ইউনূস সরকার, এনসিপি ও জামায়াত।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বাসে আগুন লাগছে। এখানে দুটো ঘটনা ঘটতে পারে, আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে ফিরতে না পারায় প্রতিবাদ হিসাবে এই আগুন লাগাতে পারে। আবার আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দিতে চায় না এমন গোষ্ঠী বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী হিসাবে হাজির করতে পারে।
কিন্তু সমাধান কী? এভাবেই জ্বলবে বাংলাদেশ।
আমজনতার এই নেতা আরো বলেন, আমি মনে করি রাজনীতি একটি সামাজিক চুক্তি, যে চুক্তিতে পরাজিতকেও এডজাস্ট করতে হয়, সুস্থ হবার সুযোগ দিতে হয়। যারা যতটা অপরাধী সেটুকুকে বাদ দিয়ে নির্দোষদের রাজনীতির অধিকার দিতে হবে।
তিনি বলেন, এবার মূল কথায় আসি, যেখানে শুরু করেছিলাম আমাকে যদি ফেভার নিতে বলা হয়, জামায়াত বা লীগ কোনটাকে বেছে নেব। আমি মনে করি, লীগের চেয়ে জামায়াত হাজার গুণে অপরাধী। কারণ লাহোরের হেড কোয়ার্টার জামায়াত। দেশকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতে চেয়েছে স্বাধীনতার পরেও। আর আওয়ামী লীগ তো শুধু ক্ষমতা চেয়েছে। ক্ষমতা চাওয়ার অপরাধ দেশ বিক্রির চেয়ে বেশি নয়।
তিনি আরো বলেন, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের হত্যার বিচার আমি অবশ্যই চাই, কিন্তু আসামি পক্ষের আইনজীবী জামায়াতের, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামায়াতের এমন ভুয়া বিচার আমি চাই না। জামায়াতের হাতে আওয়ামী লীগের বিচার আমি চাই না। আর সাংবাদিক পান্না ভাইকে যদি কথা বলার জন্য জেলে যেতে হয়, তাহলে জামায়াতের তিন প্রজন্মকে আজীবন জেলে থাকতে হবে।










































