প্রচ্ছদ জাতীয় জামায়াতের পর এবার বড় শোডাউনের পরিকল্পনা বিএনপির

জামায়াতের পর এবার বড় শোডাউনের পরিকল্পনা বিএনপির

অবশ্য দীর্ঘদিনের মিত্র হলেও আগামী নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতের সঙ্গে এবার ‘নির্বাচনী জোট’ করছে না বিএনপি। এটা এখন অনেকটাই স্পষ্ট। ফ্যাসিবাদবিরোধী যুগপতের মিত্রদের নিয়ে ‘নির্বাচনী জোট’ গঠনের পরিকল্পনা করছে বিএনপি। অন্যদিকে জামায়াতও ইসলামী দলগুলোসহ ‘পিআর’ চাওয়া অন্যদের নিয়ে জোট গঠনে তৎপর রয়েছে। এর অংশ হিসেবে পিআর পদ্ধতিতে যারা জাতীয় নির্বাচন চায়, তাদের সোহরাওয়ার্দীর সমাবেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল জামায়াত। সেখানে বিএনপিকে কোনো দাওয়াত দেওয়া হয়নি। বিএনপি পিআর নয়, বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন চায়।

বিএনপি এখন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি পালনে ৩৬ দিনব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে; যা গত ৩০ জুন মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আজ সোমবার বিকেলে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গণঅভ্যুত্থানে পেশাজীবীদের অবদান নিয়ে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের (বিএসপিপি) উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এতে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি থাকবেন। এ ছাড়া আগামীকাল মঙ্গলবার কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহিলা দলের উদ্যোগে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে নারীদের অবদান’ শীর্ষক আলোচনা হবে। ২৮ জুলাই স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে ডেঙ্গু ও করোনা প্রতিরোধে পানি ও ডোবা পরিষ্কারের কর্মসূচি এবং ‘মায়ের ডাক’ ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর উদ্যোগে ‘গণতান্ত্রিক পথযাত্রায় শিশু’ শীর্ষক আলোচনা সভা; ২ আগস্ট ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে ‘পালাব না, কোথায় পালাব? শেখ হাসিনা পালায় না’ শীর্ষক পথনাটক এবং উত্তরা, রামপুরা, মিরপুর ও যাত্রাবাড়ীতে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ; ৩ আগস্ট ছাত্রদলের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রসমাবেশ; ৪ আগস্ট যুবদলের উদ্যোগে শহীদদের সম্মাননা প্রদান এবং ‘আমার না বলা কথা’ শীর্ষক অনুষ্ঠান এবং সবশেষ কর্মসূচি হিসেবে ৬ আগস্ট বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে বিজয় মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।

তবে সেদিন ঢাকাজুড়ে একাধিক মিছিল হবে, নাকি কেন্দ্রীয়ভাবে একটি মিছিল হবে—সেটা হলে কোথা থেকে শুরু এবং কোথায় গিয়ে শেষ হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। অবশ্য এই কর্মসূচি ঘিরে ঢাকায় ব্যাপক জনসমাগম ঘটাবে বিএনপি।

জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কালবেলাকে বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান স্মরণে একটার পর একটা কর্মসূচি চলছে। সামনে আরও কর্মসূচি আছে। তার পর ওটার (বিজয় মিছিল) প্রস্তুতি শুরু করব।

দলের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল কালবেলাকে বলেন, তারা এখন বিএনপি ঘোষিত গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির ধারাবাহিক কর্মসূচিগুলো পালন করছেন। বিজয় মিছিল নিয়ে শিগগির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানেই বিজয় মিছিলের কর্মসূচি কীভাবে পালিত হবে, মিছিলের ব্যাপকতা কেমন হবে, সবকিছু নিয়ে আলোচনা হবে। তবে ওই কর্মসূচি ঘিরে ঢাকায় ব্যাপক জনসমাগম ঘটবে।