প্রচ্ছদ হেড লাইন জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

জন্য জোর দাবি জানিয়ে আসছি। বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কলামিস্ট, লেখক, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও নানা শ্রেণিপেশার মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির সাথে একমত পোষণ করেছেন।

ডা. তাহের বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি জনগণের দাবিসমূহ কার্যকর করার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে না। এমতাবস্থায় জনগণের দাবি আদায়ের জন্য গণআন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। তাই জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিতামূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্ররূপে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর আন্দোলনের ৫-দফা গণদাবি জাতির সামনে তুলে ধরা হচ্ছে।

দাবিসমূহ হলো-

১। জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা।

২। আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা।

৩। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।

৪। ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।

৫। স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

উক্ত দাবিসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত কর্মসূচি পালন করা হবে ইনশাআল্লাহ।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সকল বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সকল জেলা/উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আমরা দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে মুল বাধা কী? এই প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, ঐকমত্য কমিশন তো খুবই শক্তিশালী। একটা হলো রাজনৈতিক আরেকটা আইনগত বিষয়। রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে আইনগত বিষয়েও সমাধান হচ্ছে না। সুতরাং অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ঐকমত্য হলে দ্রুত কার্যকর করা সম্ভব। দু:খজনক যে, আমরা এখনো ঐকমত্য হতে পারিনি। যে কারণে দেরি হচ্ছে। তবে ৫ টি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলো আইনগত ভিত্তির মাধ্যমে নির্বাচনের আগেই বাস্তাবায়ন হবে। আমরা তো বলিনি যে নির্বাচনে যাবো না। আমরা মনে করি আরও ৫ মাস সময় আছে এই সময়ের মধ্যে সরকার আমাদের দাবিসমূহ অবশ্যই মানবে। আমরা ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, আব্দুর রব, মোবারক হোসেন, মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আ.রহমান মূসা, দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ইয়াসিন আরাফাত, প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার প্রমুখ।