প্রচ্ছদ সারাদেশ জাবিতে গণধর্ষণের ঘটনায় আসিফ নজরুলের ফেসবুক স্ট্যাটাস

জাবিতে গণধর্ষণের ঘটনায় আসিফ নজরুলের ফেসবুক স্ট্যাটাস

দেশজুড়ে: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বহিরাগত এক দম্পতিকে ডেকে স্বামীকে আটকে রেখে তার স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘিরে বিক্ষোভ হয় জাবি ক্যাম্পাসে।

ঘটনাটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকেই। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুলও।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন- ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল একটা ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে হলসংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে এক ছাত্রলীগ নেতা ও তার অনুসারী।

বছর কয়েক আগে সিলেটের এমসি কলেজেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। তাদের ধর্ষণ করার অধিকার কি আমরা মেনে নিয়েছি? না হলে বিচার হয় না কেন এই ধর্ষকদের? কেন তাদের বিরুদ্ধে প্রবলভাবে রুখে দাঁড়ান না শিক্ষক-ছাত্ররা? কেন মানবাধিকার আর নারী অধিকার কর্মীরা চুপ থাকেন বা প্রতিবাদ করেন বিচ্ছিন্ন বাতাস তুলে, যাতে ভিত নড়ে না ধর্ষণকারীদের?

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন জঙ্গলে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাদের পরে আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের রিমানন্ডে নেওয়া হয়।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগমের আদালত তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, ৪৬তম ব্যাচের মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী সাগর সিদ্দিকী, ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর ও ৪৫তম ব্যাচের হাসানুজ্জামান।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ভুক্তভোগীর স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় মোস্তাফিজ ও মামুনুর রশীদকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি চারজনের বিরুদ্ধে মারধর ও আসামিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

এখনও পলাতক রয়েছে অপর দুই আসামি। তারা হলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী মুরাদ ও ভুক্তভোগীর স্বামীর পূর্বপরিচিত মামুনুর রশিদ। মামুনুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাগত। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।