
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে তিনটি আলাদা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে। মামলাগুলোতে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেল এ আদেশ দেন। সকালেই হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের কড়া নিরাপত্তায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিজন ভ্যানে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে পাঠানো সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন—র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে); র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম; বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম; ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিন পরিচালক—মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।
তিন মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের হাজিরের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। গুমের দুই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ নভেম্বর এবং গত বছরের ১৮ ও ১৯ জুলাই রামপুরায় গণহত্যা মামলার শুনানি ৫ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, কারা কর্তৃপক্ষ ঠিক করবেন গ্রেপ্তারকৃত সেনা কর্মকর্তাদের কোন কারাগারে রাখা হবে। এছাড়া আদালতের প্রক্রিয়ায় সহায়তার জন্য সেনাবাহিনীসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এর আগে ১১ অক্টোবর সেনা সদরের একটি ব্রিফিংয়ে জানানো হয়েছিল, ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম থাকা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।












































