দেশজুড়ে: ‘ছোট্ট বাচ্চাটা এত পরিমাণে কান্নাকাটি করছে, তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার মতোও ভাষা নেই। এতটুকুন বাচ্চা কি মা ছাড়া থাকতে পারে। ওর কান্না দেখলে কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে। আশপাশের মানুষ আসে বাচ্চাটারে দেখতে কিন্তু ওর মাকে কেউ কোথাও খুঁজে পাচ্ছে না।’
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমান। তিনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কলতাপাড়া গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে।
জিয়াউর রহমান জানান, তার স্ত্রী সানজিদা আক্তার ২ বছর ধরে মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। এলাকার বেশ কিছু কবিরাজ দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করার পর জানা গেছে, সানজিদা জিনে ধরা রোগী। সে মোতাবেক চিকিৎসা কার্যক্রমও চলছিল। এরই মধ্যে একটি ছেলেসন্তান জন্ম দিয়েছেন সানজিদা। তাদের দাম্পত্য জীবনে কখনো কোনো কলহ ছিল না। কিন্তু চলতি মাসের ২৪ তারিখ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কাউকে না জানিয়ে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে যান। ফজরের আজান শুনে ঘুম ভাঙলে তাকে বিভিন্ন জায়গায় তন্নতন্ন করে খুঁজেও পাওয়া যায়নি। যাওয়ার সময় সানজিদা পরনের কাপড় ছাড়া বাড়তি কিছু, এমনকি পায়ের স্যান্ডেলটা পর্যন্ত নিয়ে যাননি।
সানজিদার স্বামী জিয়াউর রহমান আরও জানান, এই ৪ দিনে বেশ কিছু কবিরাজের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। তারা একেকজন একেক রকমের তথ্য আর ফেরত আনার আশ্বাস দিয়েছেন, কিন্তু কেউ এখন পর্যন্ত রোগীকে ফেরত আনতে পারেননি। দিন যতই যাচ্ছে, ততই তিনি হতাশ হয়ে যাচ্ছেন। বলছেন, ‘জলজ্যান্ত একটি মানুষ এভাবে নাই হয়ে যাবে। তাকে উদ্ধার করার মতো কি কোনো উপায় নেই?’
বাধ্য হয়ে গত বৃহস্পতিবার সোনারগাঁ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল বারী বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সূত্র : RTV Online
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |