সারাদেশ: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) গণিত বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী সামিয়া আক্তার ফুল। অসম্ভব মেধাবী এই ছাত্রী ছিলেন নানান গুণের অধিকারী। বিভাগে নিজ ব্যাচের মেধাতালিকায় প্রথম স্থান অর্জন করে সে। স্বপ্ন ছিলো একদিন বড় হয়ে পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করবে। কাজ করবে দেশ ও দেশের মানুষের সেবায়। কিন্তু বিরল রোগে অকালেই ঝড়ে গেল স্বপ্নবাজ এই তরুণীর প্রাণ।
বিরল ভাসকুলাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১১ দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সজীব আলী তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুবরণকারী সামিয়া আক্তার ফুল-এর বাড়ি পাবনা জেলায়। তিন ভাইবোনের মধ্যে মেঝ সন্তান সে। তার সহপাঠীরা জানান, সামিয়ার এই রোগটি ২০২০ সাল থেকে দেখা দিয়েছিলো। এরপর এক বছর চিকিৎসা নেওয়ার পর সে সুস্থ হয়েছিলো। কিন্তু গত ছয় মাস আগ থেকে সে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই রোজার সময় মধ্যে সামিয়া অতিরিক্ত অসুস্থ হয়ে যায়। তার প্রতিটা অর্গানে সমস্যা দেখা দিয়েছিলো। যেমন, কিডনি জটিলতা, হার্টে সমস্যা, কফের সাথে রক্ত আসা ইত্যাদি। তিন বছর ধরে সে এই রোগটির সাথে লড়াই করতে করতে আজ বিদায় নিলো।
এ বিষয়ে গণিত বিভাগের সভাপতি ড. সজীব আলী বলেন, বেশ কিছুদিন আগে মেয়েটি অসুস্থ থাকায় আমার নিকট থেকে ছুটি নিয়েছিলো। তবে আজ তার মৃত্যুর সংবাদ শুনতে হবে এটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমরা বিভাগের সকলেই তার জন্য শোকাহত। সে ওই ব্যাচের ফাস্ট গার্ল ছিলো। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। তবে কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই। আমরা তাঁর শেষকৃত্যে অংশ নিতে এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে বিকেলে একটি বাসে করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রওনা দিবো। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, ভ্যাসকুলাইটিস মানবদেহের এক প্রজাতির অসুখ যার মুখ্য অনুষঙ্গ হলো রক্তনালীসমূহের প্রদাহ। শরীরের রক্তবাহী নালি ধমনী, শিরা, উপশিরা, ক্যাপিলারি ইত্যাদিকে একযোগে ভ্যাসকুল্যার সিস্টেম হিসাবে চিকিৎসা শাস্ত্রে উল্লেখ করা হয়। উৎস এবং উপসর্গ ভেদে ভ্যাসকুলাইটিস নানা রকম হতে পারে। তবে এটা কোনো সংক্রামক রোগ নয়
