আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন ৫ আগস্ট বিকালে রাজধানীর আদাবর এলাকায় কয়েকজন যুবদল নেতা মিলে এক ছাত্রলীগ নেতার বাড়ি দখল করে নেন। এ ঘটনার তিন দিন পর ছাত্রলীগ নেতার মা এক বিএনপি নেতাকে বাড়ি দখলের বিষয়টি জানালে তারা এসে যুবদল নেতার কাছ থেকে বাড়িটি উদ্ধার করে দেন। ৮ আগস্ট বিকালে আদাবরের মেহেদীবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আদাবর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রুবেলের মেহেদীবাগের বাড়িটি সব ভাড়াটিয়াকে নামিয়ে দিয়ে দখল করে নেন আদাবর থানা যুবদল নেতা রাকিব ও রানাসহ ৪০-৫০ জনের একটি দল। শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবরে ছাত্রলীগের এই নেতাসহ তার পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় আশ্রয় নেন। এর তিনদিন পর ছাত্রলীগ নেতার মা সেলিনা বেগম আদাবর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মনোয়ার হাসান জীবনকে বিষয়টি জানালে তিনি সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের বাসিন্দা ও বিএনপির অন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে বাড়িটি উদ্ধার করে দেন।
সেলিনা বেগম বলেন, বাড়ির ভাড়াটিয়ারা ফোনে জানান, তাদের বিএনপির লোকজন এসে বাড়ি থেকে জোর করে নামিয়ে দিয়েছে। পরে জানতে পারি যুবদলের রাকিব, রানাসহ ৪০-৫০ জন লোক এসে বাড়িটি দখল করে। ঘটনার তিনদিন পর আদাবর থানা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মনোয়ার হাসান জীবনকে আমি কল দিয়ে বিষয়টি জানালে তিনি লোকজন নিয়ে এসে বাড়িটি তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে দেন।
এ প্রসঙ্গে মনোয়ার হাসান জীবন বলেন, স্বৈরাচার সরকার পতনের পর আমাদের আদাবরে বিভিন্ন জায়গায় কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা শুরু হয়েছিল। পরে আমি বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষদের নিয়ে পুরো আদাবর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় সেগুলো বন্ধে দিন-রাত টহল দিচ্ছি। আদাবর এলাকায় যেখানে কোনো দখল, চাঁদাবাজি কিংবা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের খবর পাচ্ছি সেখানে সেনাবাহিনী, কখনো এলাকাবাসীকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলছি। আমরা চাই দলমত নির্বিশেষে পুরো আদাবর এলাকায় সবাই যেন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারি। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের ওপর যেভাবে নির্যাতন, জুলুমের স্টিমরোলার চালিয়েছিল আমরা সেই নির্যাতনের জবাব সবাইকে ভালোবাসা দিয়ে দিতে চাই।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |