হেড লাইন: শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে কাজী ইসহাক নামে এক নেতা পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (১৫ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পদত্যাগপত্রের একটি ছবি পোস্ট করে এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে চলতি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন তিনি।
সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের গরিবেরচর এলাকায় কাজী ইসহাকের বাড়ি। তিনি শরীয়তপুর জেলা শহরের জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজের অর্নাসের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২০ সালে ছাত্রলীগের আলাওলপুর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে তাকে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ দেয়া হয়। কোটা সংস্কারের আন্দোলন দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পরলে কাজী ইসহাক তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। সোমবার দিনভর তিনি তার নিজের ফেসবুকে আন্দোলনকারিদের সমর্থন জানিয়ে নানা ধরনের পোস্ট করেন। কয়েকটি পোস্টে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনাও করা হয়। গভীর রাতে তিনি ইউপনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির কাছে পদত্যাগ করেছেন এমন একটি পদত্যাগপত্রের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন।
পদত্যাগপত্রে কাজী ইসহাক লেখেন, ‘দুনিয়াতে তুমি যে দল করবে আখিরাতে তুমি সেই দলভুক্ত হয়ে হাশরের ময়দানে ওঠবে।’ এ প্রসঙ্গে আমি বাংলোদেশ ছাত্রলীগ, আলাওলপুর ইউনিয়ন শাখার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সম্পূর্ণ সজ্ঞানে নিজে পদত্যাগ করলাম। জানতে চাইলে ঢাকায় অবস্থান করা কাজী ইসহাক মুঠোফোনে বলেন, আমি এক সময় ছাত্রলীগকে খুব পছন্দ করতাম। আমার পরিবার ও কাছের ভাইয়েরা সবাই ছাত্রলীগ করতো। তখন ছাত্রলীগের একটা ভালো সময় ছিল, এবং আমি বিশ্বাস করতাম তারা ভালো কাজ করে, কল্যাণের কাজ করে। দেশের জন্য কাজ করে। কিন্তু গত তিন বছর ধরে তাদের কর্মকাণ্ড আমার ভালো লাগছে না। আজকের কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার বিষয়টি মেনে নেয়ার মত নয়। দেশে প্রশাসন আছে, তারা বিষয়টি দেখবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগ সরাসরি ক্ষমতা খাটাতে পারে না। যেহেতু ছাত্রলীগ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চলছে না, তাই আমি ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেছি। ফেসবুকে ঘোষণা দিয়েছি। এখন সংগঠনের নেতাদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিযে দিব।
জানতে চাইলে গোসাইরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজমল হোসাইন বলেন, কাজী ইসহাক দীর্ঘদিন থেকে সংগঠনে তৎপর নয়। আমারা শিগগিরই কমিটি করে তাকে সরিয়ে দেয়ার চিন্তা করে রেখেছিলাম। সংগঠনে না থাকার পূর্ণ স্বাধীনতা তার রয়েছে। কিন্তু বিধি অনুযায়ী তাকে পদত্যাগ করা উচিৎ ছিল। পদত্যাগপত্র সংগঠনের কারো কাছে না পৌঁছে দিয়ে ফেসবুকে তা প্রচার করা কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাজ নয়। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। কেন সে সামাজিক মাধ্যমে বির্তকের জন্ম দিলেন তা খতিয়ে দেখা হবে। এরপর তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |