
এক ছবিতেই যেন খুলে গেল প্যান্ডোরার বাক্স। বাংলাদেশ সীমান্তে উস্কানিমূলক ভাবে প্রবেশ করে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছিল ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। ছোড়া হয়েছিল টিয়ার গ্যাস। আন্তর্জাতিক সীমান্তে যা রীতিমত অপরাধের মতো ঘটনা।এবার সেই গ্রেনেড হাতে বিএসএফ সদস্যের ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে স্পষ্ট ভাবেই দেখা যাচ্ছে একজন বিএসএফ সদস্যের হাতে ধরা গ্রেনেড।
শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে বাংলাদেশিদের ওপর বিএসএফের হামলার বিভিন্ন ছবিতেও ছড়াচ্ছে আতঙ্ক। ছবিগুলো ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয়েছে বিএসএফের হাতে সাউন্ড গ্রেনেড এর ছবি। যা দেখে হতবাক বাংলাদেশিরা।
এই ছবি এবং সেদিনের হামলায় উত্তেজনা এমনকি কাঁটাতারের বেড়া তৈরি নিয়ে ছড়ানো উদ্বেগে এখন দুশ্চিন্তায় সীমান্ত পারের মানুষ। বিএসএফের স্পর্ধা এতটাই বেড়েছে যে বাংলাদেশের মানুষের দিকে এখন সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে দিতেও দ্বিধা করছে না তারা। স্থানীয় ভারতীয়দের সাথে মিলে সীমান্তে অস্থিরতা তৈরির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএসএফ।

বার বার দুঃখ প্রকাশ করেও নতুন নতুন উত্তেজনা তৈরি করছে তারা। আর সেদিন থেকেই বিএসএফের হাতে সাউন্ড গ্রেনেড এর ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে। ভাইরাল ছবিতে দেখা গেছে, কালিগঞ্জ সীমান্তের ওপারে ভারতের অংশে দাঁড়িয়ে পাঁচ জন বিএসএফ সদস্য। এক হাতে আছে বন্দুক, অন্য হাতে ধরে আছে সাউন্ড গ্রেনেড। যা বাংলাদেশীদের ওপর নিক্ষেপ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল তারা।
কিন্তু বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাহসী সদস্য আর জনগণের সহযোগিতায় ক্রমাগত এই উস্কানি কমানো সম্ভব হয়েছে। এছাড়া স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করছে ভারতের বিএসএফ। তাই এখন থেকে বিজিবিও ব্যবহার করতে পারবে। বিজিবিকে টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড কেনার অনুমতি দেয়া হয়েছে। কেনার পর তারা এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আরো বলেন, বিজিবি কেন তারা সাউন্ড গ্রেনেড মারে নাই বা কেন টিয়ার শেল মারে নাই? এইগুলি তো বিজিবির কাছে নাই। এইজন্য তো তারা মারতে পারে নাই। এজন্য আমরা তাদের এখনো পারমিশন দিয়ে দিয়েছি এবং খুব তাড়াতাড়ি এই জিনিসগুলি ক্রয় করা হবে।
সেদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে জোর করে বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে আম, বরই এবং ফসল কাটতে চেয়েছিল ভারতীয়রা। তাতে বাংলাদেশিরা বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে তৈরি হয় তুমুল উত্তেজনা। এমনকি ওপার থেকে গোলা, ককটেল এবং টিয়ারগ্যাস ছোঁড়ে বিএসএফ। তবে পুরো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সামাল দিয়েছেন বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিবির সৈন্যরা। এই বিষয়ে কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, চৌকা কিরনগঞ্জ সীমান্তে দিনভর উত্তেজনা থাকলেও বিকেলের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে কঠোর নজরদারি চলমান আছে। ১ হাজার ২০০ গজ কাটাতারের বেড়া বিহীন সীমান্তে বিজিবি। বিজিবির একজন কর্মকর্তা বলেন, আমরা দিনরাত প্রস্তুত আছি। আমরা ইনশাল্লাহ যে কোন পরিস্থিতি আমাদের বিজিবির কন্ট্রোলে আছে মাঠে কাজ করা কৃষক বাদে অন্য কাউকেই সেদিকে যেতে দেয়া হচ্ছে না। উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় জমালেও তাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওপারের সীমান্ত থেকেও কাউকে এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। তবে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত আছে বিজিবি।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |