ধর্ম ও জীবন: ছবির এই শিশুকে চেনা যায়। চট করে অনেকে হয়ত চিনতে পারেননি। বর্তমানে তিনি শুধু বাংলাদেশ নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজেকে পরিচিত করেছেন একজন ইসলামিক স্কলার্স হিসেবে। ২৬ জানুয়ারি ১৯৯০ সালে ঢাকার ডেমরাতেই তার জন্ম। তার পৈতৃক নিবাস কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরের পরমতলা গ্রামে। ছোটবেলা থেকে তিনি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। ঢাকার দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে যথাক্রমে ২০০৪ সালে দাখিল ও ২০০৬ সালে আলিম পাস করেন।
তিনি উভয় পরীক্ষাতেই বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে মেধাতালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেন। ২০০৭ সালে ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত মিসরীয় সরকারের স্কলারশিপ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন তিনি। তার দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এই স্কলারকে ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে ৫৫ লাখেরও বেশি মানুষ ফলো করেন। তিনি বিভিন্ন সময় ইসলাম ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে বক্তব্য দিয়ে থাকেন। সাম্প্রতিক শোবিজ ও ফেসবুকে ভাইরাল ব্যক্তি ছাড়াও মেধা ও ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে তারকা খ্যাতি লাভ করে নিয়েছেন কিছু ধর্মীয় স্কলার। সোশ্যালে প্রবেশ করলে তাদের বিভিন্ন বক্তব্য শুনতে পাওয়া যায়। ছবির শিশুটিও তেমন একজন ধর্মীয় বক্তা। হয়ত অনেকেই ধারণা করতে পেরেছেন ছবির বাম পাশের ছেলেটি সম্পর্কে। মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ইসলামিক-এ স্কলার মূলত ইসলাম ধর্মের অনুশাসন মেনে চলা ও নিজেকে সমসাময়িকভাবে উপস্থাপন এবং কুরআন-হাদিসবিষয়ক সহজ-সাবলীল ও গবেষণাধর্মী আলোচনার মাধ্যমে রাতারাতি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের মুসলিম তরুণ সমাজে ব্যাপক জনপ্রিয়তা তার। প্রায়ই দেখা যায় তার মাহফিলে অন্যান্য ধর্মের মানুষ ইসলামে ধর্মান্তরিত হন। এবার হয়ত সবাই চিনতে পেরেছেন, কার কথা বলা হচ্ছে।হ্যাঁ, ছবির বাম পাশের ছেলেটি জনপ্রিয় আলেম, বিশিষ্ট ইসলামিক আলোচক ও বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |