
মোবাইল চুরির অপবাদে পঞ্চগড়ে মজিদা বেগম (২৬) নামে এক নারীর কোমড়ে রশি বেধেঁ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালে জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট বাজারে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভুক্তভোগী মজিদা বেগম পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বামনহাট ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আজিজুর রহমানের স্ত্রী । ২ সন্তানের জননী হলেও, সাংসারিক কলহের জেরে একই উপজেলার ঝলঝলি গ্রামে দিনমুজুর বাবা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে থাকেন ওই ভুক্তভোগী নারী।
ভুক্তভোগী মজিদা বেগম পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বামনহাট ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আজিজুর রহমানের স্ত্রী । ২ সন্তানের জননী হলেও, সাংসারিক কলহের জেরে একই উপজেলার ঝলঝলি গ্রামে দিনমুজুর বাবা মোজাম্মেল হকের বাড়িতে থাকেন ওই ভুক্তভোগী নারী।
এ ঘটনার মোবাইলে ধারণ করা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ভ্যান গাড়িতে এক নারীর সাথে তর্কে জড়িয়েছেন কয়েকজন নারী। এর মাঝে এক ব্যক্তি ওই নারীকে রশি দিয়ে বেধে রাখেন। আর তা দেখে দাড়িয়ে উপভোগ করছেন উৎসুক জনতা। তবে তর্কে জড়ানো নারী ও পুরুষের পরিচয় শনাক্ত করা না গেলেও তারা উপজেলার ঝলঝলি গ্রামের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।স্থানীয়রা বলছে ঝলঝলি গ্রামের কয়েকজন নারী ও পুরুষের সাথে মোবাইল চুরি নিয়ে তার সাথে তর্কে জড়ান। এর মাঝে এ ঘটনাটি ঘটে।
জেমজুট বাজারের ভাই ভাই হোটেল ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লা বলেন, সকালে দোকানের কাজ করছিলাম। হঠাৎ পঞ্চগড় থেকে একটি ভ্যানে দুইটা মহিলা ও একটা পুরুষ আমার দোকানের সামনে আসে। এর মাঝে তারা তর্কে জড়ায়। ওই নারী পুরুষটাকে একপর্যায়ে গালাগালি করে আমার দোকানে চলে আসে। তার সাথে থাকা ছেলেটি আমার পাশের দোকান থেকে লাঠি নিয়ে তাকে মারতে গেলে ওই নারীও তাকে মারতে যায়। এর মাঝে ৮-১০ জন মহিলে এসে তাকে ধরে নিয়ে বেধেঁ ভ্যানে করে নিয়ে যায়।
ঔষুধ ব্যবসায়ী হাবিবুল্লাহ বলেন, আমি হঠাৎ অনেক লোকজনকে দেখতে পাই। এর মাঝে এক নারীকে ৮-১০ জন নারী আক্রমন করছে। তাদের কাছে জানতে গেলে বলেন মোবাইল চুরি করেছে। তাই তাকে ধরতে এসেছে সবাই। পরে তাকে রশি দিয়ে বেধে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমার কাছেও খুব খারাপ লেগেছে। তাই মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করি।
ঝলঝলি গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান বাবুল বলেন, ওই মেয়েটি কারো কথা শুনে না, বাড়িতেও থাকে না। চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে। সর্বশেষ মোবাইল চুরি করায় লোকজন তাকে ধরে নিয়ে এসেছে। চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মাধ্যমে একটি শালিস করে তার বাবার হাতে মেয়েটিকে তুলে দিয়েছে গ্রামবাসীরা। তার এমন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সবাই।
ঝলঝলি গ্রামের বাসিন্দা আতাউর রহমান বাবুল বলেন, ওই মেয়েটি কারো কথা শুনে না, বাড়িতেও থাকে না। চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ করে। সর্বশেষ মোবাইল চুরি করায় লোকজন তাকে ধরে নিয়ে এসেছে। চেয়ারম্যান ও মেম্বারের মাধ্যমে একটি শালিস করে তার বাবার হাতে মেয়েটিকে তুলে দিয়েছে গ্রামবাসীরা। তার এমন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সবাই।
বোদা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত না। এ ঘটনায়
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |