প্রচ্ছদ অর্থ ও বাণিজ্য চীনে ঢুকলো বাংলাদেশের আম

চীনে ঢুকলো বাংলাদেশের আম

বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৃথিবীকে রক্ষায় তরুণদের ‘থ্রি জিরো ক্লাব’ গড়ে তোলার আহ্বান ড. ইউনূসের শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে যাওয়া একটি আমের চালান গ্রহণ করল চীন। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বাংলাদেশ থেকে তিন টন তাজা আমের একটি চালান চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুনান প্রদেশের চাংশায় পৌঁছায়। যা বাংলাদেশ থেকে চীনের প্রথম আম আমদানির ঘটনা।

সেখানে পৌঁছানোর পর, চাংশা হুয়াংহুয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে শিপিং লেবেল, ফাইটোস্যানিটারি সার্টিফিকেট যাচাই করেন এবং প্যাকেজিং এবং ফলের মান ও আকার পরিদর্শন করেন।

কোনও ধরনের অস্বাভাবিকতা না থাকায় চালানটি খালাস করা হয়। ভৌগোলিকভাবে আম উৎপাদনের জন্য বাংলাদেশ বিখ্যাত। এখানকার আমের আকার, উচ্চ চিনির পরিমাণ এবং সমৃদ্ধ ফুল ও সুবাসের জন্য পরিচিত। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হুনান বাবাইলি হোল্ডিং গ্রুপ জানিয়েছে, বাংলাদেশের আম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, সুপারমার্কেট এবং চীনজুড়ে তাজা আম চেইনের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।
মূলত মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে আম রফতানি হতো বাংলাদেশ থেকে। আমদানিকারক প্রথম বছরে চীনে ১০০ টনের বেশি আম নেবে বলে জানিয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে, চীন বাংলাদেশ থেকে তাজা আম আমদানির অনুমোদন পায়।

আমের এই চালানটি বাধাহীনভাবে প্রবেশ করত, চাংশা কাস্টমস কোয়ারেন্টাইন অনুমোদন সহ অ্যান্ড-টু-অ্যান্ডসহায়তা প্রদান করে। বিমানবন্দরে, ‘ফ্রেশ এক্সপ্রেস’ দল সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করে। কাস্টমাইজড ক্লিয়ারেন্স করা হয় দ্রুততম সময়ের মধ্যে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মতে, বাংলাদেশ ২০২৫ সালে প্রায় ২.৭ মিলিয়ন টন আম উৎপাদন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যার মধ্যে প্রায় ৫ হাজার টন রফতানির পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশে ‘আমের রাজধানী’ নামে পরিচিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল রাসায়নিকমুক্ত উন্নত মানের আমের জন্য বিখ্যাত। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বাংলাদেশে রাসায়নিক কীটনাশকের নিরাপদ বিকল্প হিসেবে চীনা ব্যাগিং প্রযুক্তি স্থানীয় আম চাষিরা ব্যবহার করছে।

২০২৪ সালে, চীনের ফলের বাণিজ্যে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। ফলের রফতানি ৮.৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা এর আগের বছরের তুলনায় ২০.৯ শতাংশ বেশি। যেখানে আমদানি মোট ১৯.৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ছয় শতাংশ বেশি। এই বছর চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ৫০তম বার্ষিকী পালন হচ্ছে।