সারাদেশ: বরিশালে এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) নগরীর পুরানপাড়া এলাকায় এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নববধূর নাম সাদিয়া আক্তার (২০)। তিনি পুরানপাড়া এলাকার মাহফুজ আলমের মেয়ে। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট সাদিয়া। সাদিয়ার পরিবার জানায়, গত ২৪ জানুয়ারি সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মুদি দোকানি রুবেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল সাদিয়ার। বিয়েতে মেয়েকে স্বর্ণালংকার ও জামাইকে ফ্রিজ, গলার চেইন ও আংটি দেওয়া হয়। এতে ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।
সাদিয়ার পরিবার আরও জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে পরিবারের সবার অজান্তে বাবার বাড়ির ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সাদিয়া। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধারের পর শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আত্মহত্যার আগে একটি চিরকুট লিখে গেছেন সাদিয়া। সেখানে তিনি লিখেন, ‘আমি কী দোষ করেছিলাম, এমন একজন মানুষের জন্য নিজের জীবনটাই শেষ করে দিলাম। প্রত্যেক রাতে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য জ্বালায়। আমাকে বিয়ে দিয়েছিলে কেন। আমি তোমাদের কাছে বোঝা? টাকা চাইলে তো মন পাওয়া যায় না। টাকা দিয়ে কী ভালোবাসা পাওয়া যায়। আমি তোমাদের কষ্ট দিতে চাই না বাবা-মা। আমি একটু সুখ চাই।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, দুদিন আগে সাদিয়ার বাবাকে খবর দিয়ে নেওয়া হয় রুবেলের বাড়িতে। এরপর মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এমনকি ওই বাড়িতে আবার আসতে হলে তিন লাখ টাকা দাবি করেন রুবেল। এ কারণে ক্ষোভে সাদিয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে ধারণা করা যায়। তার লেখা চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |