
সারাদেশ: পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদের বয়স নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। সে গবেষণায় এবার নতুন তথ্য উঠে এসেছে। চাঁদের বয়স সম্পর্কে এতদিন যে ধারণা পোষণ করছিলেন তারা, উপগ্রহটির বয়স তার চেয়েও বেশি বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। ধারণা করা হয়, চাঁদ তৈরি হয়েছে মঙ্গল গ্রহের আকারের কোনো আদি গ্রহের সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষের সময়। এটি ছিল গ্রহ হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ের একটি শিলা। আর এই সংঘর্ষটি ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে দানব আকারের প্রভাব ফেলা সর্বশেষ ঘটনা। বিজ্ঞানীরা চাঁদের পাথরের নমুনা সংগ্রহ করে সেই সংঘর্ষের তারিখ অনুমান করেছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ।
পাথরের এইসব নমুনা চাঁদের প্রাচীন ম্যাগমা মহাসাগর থেকে স্ফটিক হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়। তবে সংঘর্ষের পরেও এগুলো চাঁদের পৃষ্ঠে রয়ে যায়। এসব নমুনা বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন, চাঁদের বয়স হতে পারে আনুমানিক ৪৩৫ কোটি বছর। তবে বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী ‘নেচার’-এ প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ‘ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া সান্তা ক্রুজ’-এর অধ্যাপক ফ্রান্সিস নিম্মো ও তার সহকর্মীরা যুক্তি দিয়ে বলেছেন, চাঁদের বয়স এর চেয়েও কিছুটা বেশি। এই গবেষকদের মডেল অনুসারে, গরম ও ঠাণ্ডা উভয় সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল চাঁদ, ফলে এর পৃষ্ঠটি ঠাণ্ডা হয়ে কঠিন হওয়ার পর তা আবারও উত্তাপে গলে যায়। যার অর্থ, চাঁদের শিলার এসব নমুনা অনেক আগের সময়ের হতে পারে। এই ‘পুনরায় গলে যাওয়া’ পৃষ্ঠেই লুকিয়ে আছে চাঁদের পুরানো বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য।
চাঁদের তাপীয় মডেল, এর জ্বালামুখ ও নির্দিষ্ট কিছু খনিজ পদার্থের বয়স পর্যবেক্ষণ করে অধ্যাপক নিম্মো ও তার গবেষণা দলটি এখন ধারণা করছে, চাঁদের বয়স হতে পারে ৪৫১ কোটি বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ আগে যে বয়স ধারণা করা হয়েছিল এর চেয়ে এখনকার হিসাবে যোগ হচ্ছে আরও ১৬ কোটি বছর। প্রসঙ্গত, এই মুহুর্তে চাঁদের প্রতি আগ্রহ রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছানোর জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা করছে এসব দেশ। তাদের ধারণা, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানি থাকতে পারে। আর মানুষকে মঙ্গল গ্রহে পৌঁছাতে সহায়তা করার জন্য চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |