প্রচ্ছদ সারাদেশ চাঁদা না পেয়ে টেম্পুস্ট্যান্ডে ভাঙচুর যুবদল নেতাকর্মীর

চাঁদা না পেয়ে টেম্পুস্ট্যান্ডে ভাঙচুর যুবদল নেতাকর্মীর

ফরিদপুরে চাঁদা না পেয়ে টেম্পুস্ট্যান্ডে ভাঙচুর চালিয়েছেন যুবদলের ন্থানীয় নেতাকর্মীরা। সংগঠনের জেলা শাখার সহসভাপতি মাসুদুর রহমান লিমনের নির্দেশে মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে এ হামলা হয়েছে। এ সময় কমপক্ষে ১৬টি মাহেন্দ্র গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্ত চালকরা এ তথ্য জানান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৫০-৬০ দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা নিয়ে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে টেম্পুস্ট্যান্ডে হামলা চালিয়ে সেখানে যাত্রী পরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ কমপক্ষে ১৬টি গাড়ি ভাঙচুর করে।

প্রবীণ চালক মো. লাভলু বলেন, হাজরাতলা মোড় থেকে সালথাগামী একজন মাহেন্দ্র চালক নিয়ম ভঙ্গ করে যাত্রী তুলতে গেলে তাকে লাইনম্যান বাধা দেন। এনিয়ে তাদের মাঝে তর্কাতর্কি হয়। এর কিছুক্ষণ পরে যুবদলের নেতা লিমনের নির্দেশে হামলা চালানো হয়। লিমনের সহযোগী সোহেল, শাহিন, মিন্টুর নেতৃত্বে ৭০ থেকে ৮০ জন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলায় অংশ নেন। তারা অপেক্ষমাণ সবগুলো গাড়ি ভাঙচুর করেন। হামলায় কয়েকজন আহত হন।

ফরিদপুর মাহেন্দ্র চালক ইউনিয়নের সড়ক সম্পাদক লিয়াকত আলী বাবু মোল্লা বলেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর ফরিদপুর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি লিমনের নেতৃত্বে ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে মাহেন্দ্র গাড়িগুলো থেকে গাড়ির ট্রিপ প্রতি ৫০ টাকা হারে চাঁদা নেওয়া হচ্ছিল। তবে সম্প্রতি তারা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। ১৫ দিন ধরে তাকে টাকা না দেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে যাত্রী উঠানো নিয়ে তর্কাতর্কির অজুহাতে হামলা চালান।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান লিমন বলেন, তিনি গ্রামের বাড়িতে জমিজমা সংক্রান্ত ব্যক্তিগত একটি কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তিনি এ হামলার ঘটনার সঙ্গে বিন্দুমাত্র জড়িত নন। একটি মহল তার নাম জড়িয়ে মিথ্যাচার করছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। আমি শহরের বাইরে গেরদা ইউনিয়নে একটি প্রোগ্রামে আছি। যদি এমনটি ঘটে থাকে তাহলে সেটা তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। যুবদল এ ধরনের কর্মকাণ্ড কখনোই সমর্থন করে না।’