
ছবিঃ সংগৃহীত
বিশ্বের একমাত্র উপগ্রহ চাঁদকে পারমাণবিক বোমা ছুঁড়ে নষ্ট করার নজিরবিহীন পরিকল্পনার তথ্য ফাঁস হয়েছে—যা তখনকার এক মহাশক্তি দেশের সামরিক প্রভাব প্রদর্শনের কৌশল হিসেবে তৎকালীন গোপন প্রস্তাবে ছিল। ওই গোপনীয় পরিকল্পনার নাম ছিল “A Study of Lunar Research Flights” (প্রজেক্ট A9)।
৭৩ বছর বয়সী একজন বিজ্ঞানী সম্প্রতি মার্কিন একটি পত্রিকার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এই ঘটনায় এবার মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ১৯৫৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছিল এমন এক কৌশলগত প্রস্তাবের মূল হোতা, যার উদ্দেশ্য ছিল চাঁদে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিশ্বজুড়ে তাদের সামরিক ক্ষমতা প্রদর্শন করা—বিশেষ করে তখনকার প্রতিদ্বন্দ্বী সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া)–কে ভিড় দেখানোর জন্য।
ডঃ লিওনার্ড রাইফেল (সাক্ষাৎকার অনুসারে) বলছেন, প্রযুক্তিগত দিক থেকে চাঁদকে পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয়; তবে চাঁদে একটি বড় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মাশরুম মেঘ তৈরি করা সম্ভব বলে পরিকল্পনাকারীরা ভেবেছিলেন। পৃথিবী থেকে সেই বিশাল মাশরুম মেঘ দৃশ্যমান হলে বিশ্ববাসীর মনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি সম্পর্কে ভয় ও সম্মান সৃষ্টির কথা উদ্দেশ্য ছিল।
ডঃ রাইফেল আরও জানান, প্রাথমিকভাবে যে ধরনের বিস্ফোরণের কল্পনা করা হয়েছিল সেটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের হিরোশিমায় ব্যবহার হওয়া বোমার আকারের সমতুল্য হিসেবে বিবেচিত ছিল। তিনি তখন পরিকল্পনাকে ব্যয়বহুল ও চাঁদের পরিবেশে দীর্ঘমেয়াদি বিরূপ প্রভাব ফেলবে বলে সতর্ক করেন—তবে তখনকার কর্তৃপক্ষ তাঁর কথায় পুরোপুরি অনড় ছিলেন না। তিনি দাবি করেছেন, পরিকল্পনাকারীরা চাঁদের যে নির্দিষ্ট বিন্দুতে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল, তাতে আঘাত করলে তার প্রভাব ওই বিন্দুর থেকে প্রায় দুই মাইল-এর আশেপাশে সীমাবদ্ধ থাকবে।









































