প্রচ্ছদ আন্তর্জাতিক গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সর্বশেষ পরিস্থিতি যা জানা যাচ্ছে

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সর্বশেষ পরিস্থিতি যা জানা যাচ্ছে

গাজার অবরোধ ভাঙার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ৪২টি নৌযানের মধ্যে ৪১টি আটক করেছে ইসরায়েলের নৌবাহিনী। তবে একটি জাহাজ ‘মেরিনেট’ এখনও চলাচল করছে এবং অনলাইনে ট্র্যাক করা গেছে। এটি মিশরের উপকূল থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করছে।

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার এক সদস্য লাইভস্ট্রিমে জানায়, ‘মেরিনেট’ এখনো দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যদিও এর গতি কিছুটা কম। এই অভিযানে ইসরায়েল ফ্লোটিলার পরিকল্পনাকে উসকানিমূলক বলে উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, জাহাজের সকল যাত্রী নিরাপদে আছেন এবং তাদেরকে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হবে, সেখান থেকে ইউরোপে ফেরত পাঠানো হবে।

মঙ্গলবার রাতেই প্রায় ৫০০ জন সংসদ সদস্য, মানবাধিকার কর্মী, এবং আইনজীবী, যাদের মধ্যে সুইডিশ পরিবেশ এক্টিভিস্ট গ্রেটা থানবার্গও ছিলেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হন। তারা গাজার উপকূল থেকে প্রায় ৭৫ মাইল দূরে অবস্থান করছিলেন। এই মানবিক ফ্লোটিলার মূল উদ্দেশ্য ছিল গাজায় প্রতীকী মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং সমুদ্রপথে এক করিডর প্রতিষ্ঠা করা।

থানবার্গ আটকের সময় একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমার নাম গ্রেটা থানবার্গ। আমি ‘আলমা’ জাহাজে আছি এবং আমরা এখন ইসরায়েলের বাধার মুখোমুখি হচ্ছি।’ আটক হওয়ার পর, থানবার্গ এবং অন্যান্যদের ইসরায়েলের আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আটককারীদের উপর আকাশ থেকে স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করে জাহাজগুলিকে থামানোর চেষ্টা করা হয়।

এটি ছিল ২০০৯ সালে গাজার নৌ অবরোধ শুরু হওয়ার পর, প্রথমবারের মতো কোনো মানবিক মিশন এত কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হলো। সুমুদ ফ্লোটিলা মানবিক সহায়তার পাশাপাশি গাজার জন্য একটি সমুদ্রপথ করিডর স্থাপনের উদ্দেশ্যে এই সাহসী অভিযান চালায়।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান