আর্ন্তজাতিক: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বৈঠক স্থগিত করা হয়েছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অনুষ্ঠিতব্য মহাপরিচালক পর্যায়ের এই বৈঠক নভেম্বর মাসে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। প্রতিবেশী দেশের পরিকল্পনায় পরিবর্তনের কারণে স্থগিত করা হয়েছে এই বৈঠক। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সরকারি সূত্রের বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস, বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এবং ডেকান হেরাল্ড।
প্রতি ছয় মাস পরপর অনুষ্ঠিত হয় এই আলোচনা, যা ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং বাংলাদেশের বিজিবি-এর দুই প্রধানের নেতৃত্বে আয়োজিত হয়। এবার ১৮ থেকে ২২ নভেম্বরের মধ্যে রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর প্রথমবারের মতো এই ধরনের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হতে যাচ্ছিল। সূত্রমতে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনার স্থগিতের কথা জানানো হয়েছে এবং তারা আলোচনার জন্য ‘সহজলভ্য একটি তারিখ’ নির্ধারণের চেষ্টা করছে।
এই আলোচনা হতে যাচ্ছে বিএসএফ এবং বিজিবি-এর মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৫তম সংস্করণ, যাতে প্রতিবেশী দু’দেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদকবিরোধী বিভাগ, কাস্টমস এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সম্পর্কিত রাষ্ট্রীয় সংস্থার কর্মকর্তারাও অংশ নেন। এই আলোচনার সর্বশেষ সংস্করণ চলতি বছরের মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। সূত্রমতে, পরবর্তী বৈঠক যে সময়ই অনুষ্ঠিত হোক না কেন, ঐতিহ্যবাহী বিষয় এবং ‘ব্যাপকমাত্রায়’ সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং সীমান্ত বরাবর বাস্তব সময়ের গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগির পারস্পরিক সমন্বয়ের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি আলোচনার গতি-প্রকৃতি নির্ধারণে ব্যাপকমাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে, তারা জানিয়েছেন। বর্তমানে ৮৪ বছর বয়সী নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশে দায়িত্ব পালন করছে। সামগ্রিকভাবে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
সূত্র : Channel 24
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |