প্রচ্ছদ অপরাধ ও বিচার গভীর রাতে প্রেমিকার ডাকে সাড়া দেন প্রেমিক, এরপর যা ঘটল

গভীর রাতে প্রেমিকার ডাকে সাড়া দেন প্রেমিক, এরপর যা ঘটল

অপরাধ: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে এক মাদরাসার শিক্ষাককে ফাঁদে ফেলে জরিমানা আদায় এবং জুতাপেটা করার অভিযোগ উঠেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে সোমবার (২৬ আগস্ট) দিবাগত গভীর রাতে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার শিবপুর-জাঙ্গালিয়া গ্রামে।

ওই মাদরাসা শিক্ষকের নাম মো. রিয়াদ হোসাইন। তিনি উপজেলার তিতাগগ্রাম জামিয়াতুচ্ছ সুন্নাহ্ ফজল্লুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক। বিয়য়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়।

তবে অভিযুক্ত ওই মাদরাসার শিক্ষক মো. রিয়াদ হোসাইনের দাবি ওই নারীর সঙ্গে তার কোনো প্রেম বা সম্পর্ক ছিলো না, ষড়যন্ত্রের স্বীকার তিনি। শিবপুর মসজিদের ইমাম মো. বদরুল আলম এবং তিতাগগ্রাম জামিয়াতুচ্ছ সুন্নাহ্ ফজল্লুল উলুম মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মোহাতামীম মো. আবদুল্লাহ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের শিবপুর-জাঙ্গালিয়া গ্রামের ওই নারী এক সন্তানের জননী (২০)। তাকে পার্শ্ববর্তী তিতাগগ্রাম জামিয়াতুচ্ছ সুন্নাহ্ ফজল্লুল উলুম মাদরাসার শিক্ষক মো. রিয়াদ হোসাইন মোবাইল ফোনে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। এমন অভিযোগে ওই নারীকে দিয়ে ফোন করে বাড়ির কাছে আসতে বলে ওই শিক্ষককে। পরে ফোন পেয়ে শিক্ষক রিয়াদ হোসাইন গভীর রাতে ওই নারীর স্বামীর বাড়িতে আসার পথে কয়েকজন লোক নিয়ে তার গতিরোধ লোক জড়ো করে। সেখানেই বিচার বসানোয় ওই নারীর স্বামী। সাজানো বিচারে তাদের প্রতিবেশীসহ কয়েকজন অংশ নেয়।

বিচার কাজে সেখানেই ওই শিক্ষকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ১০টি জুতাপেটা (পিঠানোর) করার আদেশ দেয়া হয়। স্থানীয় মো. আসাদ শেখ এবং মো. ওয়াহিদুল ইসলাম শেখ ওই শিক্ষককে জুতাপেটা করে সালিশের রায় বাস্তবায়ন করে। এ সময়ে উপস্থিত রাখা হয় শিবপুর মসজিদের ইমাম মো. বদরুল আলম এবং তিতাগগ্রাম জামিয়াতুচ্ছ সুন্নাহ্ ফজল্লুল উলুম মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মোহাতামীম মো. আবদুল্লাহকে।

অভিযুক্ত মাদরাসার শিক্ষক মো. রিয়াদ হোসাইন মোবাইল ফোনে বলেন, আমি ষড়যন্ত্রের স্বীকার। মায়ার ননদ আমাদের মাদরাসায় লেখাপড়া করে। তাই ফোন দিলে আমি তাদের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। তবে কোনো প্রেম বা সম্পর্ক ছিলো না।

সালিশে উপস্থিত ইমাম মো. বদরুল আলম ও ভারপ্রাপ্ত মোহাতামীম মো. আবদুল্লাহ জানান, আমাদের ওই নারীর স্বামী ও তার লোকজন আমাদের ফোন করে ডেকে আনে। আমরা কোনো প্রকার ভূমিকা রাখি নি। আমাদের কথাও কেউ শোনেনি।

ইউপি সদস্য মোরাদ হোসেন জানান, বিষয়টি আইন পরিপন্থী মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করা হয়েছে। আমাকে কেউ বিষয়টি জানায়নি। তবে আমি পরে লোকমুখে শুনেছি।

এ ব্যাপারে বক্তব্যের জন্য কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিল্লুর রহমানের সরকারি নম্বরে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভি করেননি। পরে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে।