
সারাদেশ: ফরিদপুরে দুই সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রীর ঘর থেকে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করেছেন এলাকাবাসী। রোববার (৭ এপ্রিল) গভীর রাতে তাকে আটক করা হয়। ওই নেতার নাম চৌধুরী সাব্বির আলী। তিনি সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। আটকের পরে ওই নেতাকে মারধর করা হয়। ঘটনার দুদিন পর এর কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
জানা গেছে, গত রোববার রাতে জেলা সদরের গেরদা ইউনিয়নের গোকাইল গ্রামের বাসিন্দা এক প্রবাসীর বাড়িতে যান সাব্বির চৌধুরী। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে রাত ১টার দিকে প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরের ভেতর থেকে আটক করে তাকে। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন মুঠোফোনে সেই দৃশ্য ধারণ করে রাখে। পরে এলন লাভার (Alone Lover) নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিও প্রকাশ করা হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, প্রবাসীর স্ত্রীর কক্ষে এক কোনে নিশ্চুপ বসে আছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা। তার পাশেই ওই প্রবাসীর স্ত্রী পায়চারী করছেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন উত্তেজিত হয়ে মারধরও করতে থাকে। ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মিলন হোসেন ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনার দিন গভীর রাতে ওই মহিলার প্রতিবেশী রফিক মোল্যা ফোন দিয়ে আমাকে বিষয়টি জানায়। পরে রাতেই আমরা গিয়ে দেখি তাকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা হয়েছে। এরপর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আয়ূব হারিস মিয়া তাকে নিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা চৌধুরী সাব্বির আলীর বলেন, ‘তাকে ষড়যন্ত্রমূলক ফাঁসানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মেয়েটার বাবার বাড়ি আমাদের এলাকায়। তাদের পারিবারিক ঝামেলা মেটানোর জন্য আমাকে ডাকা হয়। পরবর্তীতে পরিকল্পিতভাবে আমাকে হেনস্তা করে।’ কারা ডেকে নিয়েছিল? এ বিষয়ে তাদের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে গেরদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম আয়ূব হারিস মিয়া বলেন, ‘ঘটনাটি যেভাবে রটানো হয়েছে, আসলে সেটা না। রাজনৈতিকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তবে, রাতে তার আসা ঠিক হয়নি। যে কারণে এলাকাবাসী ধরে আমাকে জানিয়েছিল।’ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন এই বিষয়ে বলেন, ‘আমি ভিডিও দেখিইনি এবং কি হয়েছে কিছুই জানি না।’