প্রচ্ছদ ধর্ম খাদিজা রা.-এর জন্য যে সুসংবাদ নিয়ে এসেছিলেন জিবরাঈল আ.

খাদিজা রা.-এর জন্য যে সুসংবাদ নিয়ে এসেছিলেন জিবরাঈল আ.

ইসলামের ইতিহাসে অন্যতম মহীয়সী নারী উম্মাহাতুল মুমিনীর হজরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা। তিনিই সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহণ করেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর ওহী নাজিলের পর তিনি যখন পেরেশান ছিলেন খাদিজা রা. তাকে শান্ত্বনা দিয়েছিলেন। নিজেই সর্বপ্রথম মুহাম্মদ সা.-কে নবী হিসেবে মেনে নেন। তাকেই অভয় বাণী শোনান।

হেরায় গুহায় হজরত জিবরিল আমিনের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের পর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়িছিলেন খাদিজা রা. শান্ত্বনার বাণী শুনিয়েছিলেন তাকে।

আশ্বাস দিয়েছিলেন, বলেছিলেন, মুহাম্মদ! আপনি কখনো কারো মন্দ কিছু চাননি, বিপদগ্রস্তের পাশে দাঁড়িয়েছেন, অসহায়ের সহায় হয়েছেন, ভয় পাওয়ার কিছু নেই, আপনার রব আপনাকে কখনো বিপদে ফেলবেন না।

রাসূলের হাদিসে বর্ণিত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ চার নারীর একজন হজরত খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ রা.। হজরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী সা. বলেন, জগতের সব নারী থেকে চারজন নারী অনুকরণের জন্য যথেষ্ট- মরিয়ম বিনতে ইমরান, খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ, ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ ও ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৮৭৮)

মহয়সী খাদিজা রা.-এর ওপর আল্লাহ তায়ালা নিজেও সন্তুষ্ট ছিলেন। জিবরাঈল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে তাকে সালাম পাঠিয়েছিলেন।

হজরত আনাস বিন মালিক রা. থেকে বর্ণিত, একবার রাসূলুল্লাহ সা.-এর কাছে জিবরাইল আ. উপস্থিত হলেন। তখন তার কাছে হজরত খাদিজা রা.বসা ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিবরাইল আলাইহিস সালাম বললেন, আল্লাহ তায়ালা খাদিজা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহাকে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলেছেন।

জবাবে খাদিজা রা. বললেন, ‘ইন্নাল্লাহা হুয়াস সালাম, ওয়া আলা জিবরিলাস সালাম, ওয়া আলাইকাস সালাম, ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকুহ’, অর্থাৎ, ‘নিশ্চয় আল্লাহ ওই সত্তা, যিনি সালাম ও শান্তির অধিকারী, জিবরাইলের ওপর সালাম, আপনার ওপর সালাম ও আল্লাহর রহমত ও বরকত অবতীর্ণ হোক।’ (বুখারি ও নাসায়ি, সীরাতুন নবী, ১/২২৩)