আন্তর্জাতিক : ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরসে ‘সৎসঙ্গ’ নামে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার পুণ্যার্থী। সবকিছু ঠিকঠাক ছিল, অনুষ্ঠানও শেষ হয়। তবে অনুষ্ঠান শেষ হতেই শুরু হয় হুড়োহুড়ি। এতেই ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২০ জন প্রাণ হারান। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, এই ‘সৎসঙ্গের’ ডাক দিয়েছিলেন নারায়ণ সাকার হরি ওরফে সাকার বিশ্ব হরি ওরফে ভোলে বাবা। ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরপরই কে এই ভোলে বাবা, তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।
এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, স্বঘোষিত এই ধর্মগুরু উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। তার দাবি, তিনি অতীতে গোয়েন্দা বিভাগে কাজ করেছেন। ধর্মীয় বাণী প্রচারের জন্য ২৬ বছর আগে ১৯৯৯ সালে সেই চাকরি ছাড়েন। এখন হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, দিল্লিসহ ভারতজুড়ে তার অসংখ্য ভক্ত ছড়িয়ে রয়েছে।
ভোলে বাবার জন্ম উত্তর প্রদেশের ইটা জেলার বাহাদুর নাগরি গ্রামের এক কৃষক পরিবারে। স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুর আসল নাম সুরজ পাল। তার দুই ভাই ছিল। একজন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। বাহাদুর নাগরি গ্রামেই তিনি প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেন। পরবর্তীতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের স্থানীয় গোয়েন্দা ইউনিটের হেড কনস্টেবল ছিলেন। তার দাবি, তিনি কলেজের পর গোয়েন্দা শাখায় কাজ শুরু করেন এবং সেখানে থাকাকালীন আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকে পড়েন।
তবে ১৯৯৯ সালে পুলিশের চাকরি ছেড়ে দেন ভোলে বাবা। তারপর নাম পরিবর্তন করে নারায়ণ সাকার হরি রাখেন। ভারতীয় অন্যান্য ধর্মীয় গুরুরা জাফরান পোশাক পরলেও তিনি সাদা স্যুট ও টাই পছন্দ করেন। তার অন্য পছন্দের পোশাক হলো কুর্তা-পায়জামা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) উত্তর প্রদেশের হাথরাসের রাতি ভানপুর গ্রামে তার নামেই ‘সৎসঙ্গ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ৫০ হাজারের মতো মানুষ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান শেষে একসঙ্গে হুড়োহুড়ি করে বের হতে গিয়ে ১২০ জনের মতো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও অসংখ্য মানুষ। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও জনপ্রিয় সাইট থেকে হুবহু কপি করা। তাই দায়ভার মুল পাবলিশারের। এরপরও কোন অভিযোগ বা ভিন্নমত থাকলে আমাদেরকে জানান আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান করে নিতে। |