
জাতীয়: কুষ্টিয়া জেলা যুবদলের আব্দুল মাজেদ এক সমাবেশে থানায় হামলার নেতৃত্বে থাকার কথা দাবি করেন। (৫ আগস্ট) সরকার পতনের দিন কুষ্টিয়া মডেল থানা ভাঙচুরে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা সগৌরবে দাবি করেছেন জেলা যুবদলের আব্দুল মাজেদ।
ভিডিওতে মাজেদকে আরও বলতে দেখা যায়, ‘এমন একটা দিন নাই আমার তিনটি ছেলে আমার পরিবার, আমার চাচা চাচিরা আন্দোলনে যায় নাই। রক্তে টান দিয়েছে, রক্ত যখন টান দেয় তখন জনগণের স্রোত ঠেকানো যায় না।’
সম্প্রতি মাজেদের এক মিনিটের একটি ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় জন্ম দিয়েছে নানা আলোচনা সমালোচনার। সমাবেশে উপস্থিত ছাত্র-জনতাকে সাক্ষী রেখে এই যুবদল নেতা বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় লাস্টের দিন, যেদিন ক্ষমতা হস্তান্তর হয়; সর্ব প্রথম কুষ্টিয়া থানা আমি মাজেদ নেতৃত্ব দিয়ে ভাঙিছি।’
বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা মাজেদ গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘৫ আগস্টে বিজয়ের দুইদিন পর ৭ আগস্ট খাজানগর গ্রামে এক শান্তি সমাবেশে এই কথা বলে ফেলি। এটা আসলে মনের আবেগে বলে ফেলা বক্তব্য। আমি থানায় হামলা করিনি।’
মাজেদের এমন অতি বক্তব্যকে অতি উৎসাহী বলে দাবি করেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন। তিনি বলেন মাজেদ ‘৫ ও ৬ আগস্ট কুষ্টিয়াতেই ছিল না।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার দিন ৫ আগস্ট কুষ্টিয়া মডেল থানায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। লুট হয় থানার অস্ত্রাগার। আগুন দেওয়া হয় বহু যানবাহনে। ৯ আগস্ট কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) এস এম আব্দুল আলিম বাদী হয়ে মামলা করেন। অজ্ঞাতনামা ৮ থেকে ১০ হাজার জনকে আসামি করা হয়।
তবে ঘটনার এক মাস পার হলেও মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক চৌধুরী।