প্রচ্ছদ ধর্ম কী কারণে আল-আকসায় লুকিয়ে ছাগল নেওয়ার চেষ্টা তরুণীর

কী কারণে আল-আকসায় লুকিয়ে ছাগল নেওয়ার চেষ্টা তরুণীর

ধর্মীয় : ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসার ধর্মীয় গুরুত্ব যেমন রয়েছে, তেমনি এটি ফিলিস্তিনি জনগণের সংস্কৃতি ও জাতীয়দতার প্রতীক। ইহুদি-খ্রিষ্টানদের কাছেও আল-আকসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই যুগ যুগ ধরে এটি হয়ে পড়েছে বিবাদের ইস্যু। ইহুদিরা নানা সময় নানা কৌশলে আকসা দখলের চেষ্টা চালিয়েছে, তবে সফল হয়নি।

ধর্মীয়ভাবে বিশ্বের সবচেয়ে স্পর্শকাতর স্থান হয়ে ওঠা আল-আকসায় সম্প্রতি অবাক করা এক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ছাগল নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেছেন এক ইহুদি তরুণী। তিনি অন্তঃসত্ত্বার ভান করে তার জামার নিচে ছাগলটি লুকিয়ে রেখেছিলেন। বুধবার (২২ মে) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই তরুণী সেখানে প্রবেশের সময় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তারা ছাগলের ডাক শুনতে পান এবং তরুণীর জামার নিচে কিছু একটা নড়তে দেখেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও ছাগলটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তার আগেই দমবন্ধ হয়ে মারা যায় প্রাণীটি।

প্রশ্ন হলো, কেন ইহুদী তরুণী ছাগল নিয়ে আল-আকসায় প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন? সেই কারণ খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। মূলত, যুগ যুগ ধরে আল-আকসা দখলের যে চেষ্টা করে আসছে ইহুদিরা, ছাগল নিয়ে প্রবেশের চেষ্টাটা তারই অংশ।

‘শিগগিরই আল আকসা যাবে মুসলিমদের হাতে’
ইহুদিদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পাসওভার। এই উৎসবের আগে উগ্রবাদী ইহুদিরা জেরুজালেম শহরের আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রাণী বলি দেওয়ার চেষ্টা করে আসছেন। তাদের বিশ্বাস, এর মধ্য দিয়ে স্পর্শকাতর স্থাপনাটি তাদের পূর্ণ দখলে নেওয়াটা আরও সহজ হবে। তবে ইসরায়েলের কর্মকর্তারা এভাবে প্রাণী বলি দেওয়ার অনুমতি দেন না।

কর্মকর্তারা মনে করেন, আল-আকসায় পশু বলি দেওয়ার অনুমতি দিলে আরও শত শত মানুষ একই কাজ করতে চাইবে। এভাবে স্থানটির পবিত্রতা রক্ষার যে নীতি আছে, সেটি লঙ্ঘন হবে। পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় সব মুসলিম দেশ এবং অন্যান্য দেশের পক্ষ থেকেও ইসরায়েল সরকারের ওপর ব্যাপক চাপ তৈরি হবে।

আল-আকসা পৃথিবীর প্রাচীনতম মসজিদগুলোর একটি। মিরাজের রাতে এই মসজিদেই নামাজ আদায় করেছিলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। মক্কায় হজ ও ওমরা পালনের আগে আল-আকসা ছিল মুসলিমদের কাছে প্রধান ধর্মীয় স্থান।

ইহুদিরা বিশ্বাস করে, আল-আকসাই ছিল তাদের প্রথম ও দ্বিতীয় পবিত্র উপাসনালয়। তারা মনে করে, তিন হাজার বছর আগে রাজা সোলেমান এখানে প্রথম উপাসনালয় নির্মাণ করেছিল। যেটি ধ্বংস করেছিল ব্যাবিলনীয়রা। আর দ্বিতীয় উপাসনালয়টি ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমান বাহিনী ধ্বংস করে দেয়। এখানে একটি খ্রিস্টান ব্যাসিলিকাও ছিল, যা একই সঙ্গে ধ্বংস হয়।