প্রচ্ছদ অপরাধ ও বিচার কীভাবে বাবাকে হ’ত্যা করেছেন ছেলে, উঠে এলো রোমহর্ষক বর্ণনা

কীভাবে বাবাকে হ’ত্যা করেছেন ছেলে, উঠে এলো রোমহর্ষক বর্ণনা

মাদারীপুরের শিবচরে পারিবারিক কলহের জেরে বাবাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ছেলে ফারুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১০ নভেম্বর) মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এর আগে রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চগ্রাম এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত মতিউর ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার হারিয়াবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। ঘাতক ফারুক (২৭) নিহতের ছেলে।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মতিউর ও তার ছেলে ফারুক কাজের সন্ধানে মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের পঞ্চগ্রামে এসে রসুন বপনের কাজ নেয়। রোববার রাতে বাবা-ছেলে রাতের খাবার শেষে একসঙ্গে ঘুমাতে যায়। রাত সোয়া ১২টার দিকে ঘুমিয়ে পড়লে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত বাবার মুখে কোদাল দিয়ে কোপ মারে ফারুক।

কীভাবে বাবাকে হত্যা করেছেন ছেলে, উঠে এলো রোমহর্ষক বর্ণনা
দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে অঙ্গার বাসচালক
তিনি আরও বলেন, যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকলে মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখ, মাথা আর বুকসহ এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। মাত্র আড়াই মিনিটে সর্বমোট ১৭টি কোপ দেয়। মতিউরের মৃত্যু নিশ্চিত হলে তার মরদেহের পাশে বসেই বিড়ি ধরিয়ে টানতে থাকে ফারুক।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, শব্দ পেয়ে পাশের ঘর থেকে বাড়ির মালিকের ছেলে ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং মতিউরকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এ সময় তারা শিবচর থানায় ফোন দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক ছেলেকে আটক করে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদাল, ফারুকের রক্তাক্ত জামাকাপড়সহ অন্যান্য আলামত জব্দ করে পুলিশ। নিহত মতিউরের স্ত্রী কোহিনূর বেগম বাদী হয়ে তার ছেলেকে আসামি করে শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সোমবার বিকেলে গ্রেপ্তার ফারুককে মাদারীপুর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবিরের আদালতে হাজির করা হলে তার বাবা মতিউরকে হত্যার রোমহর্ষক বর্ণনা দেন। নিজের দোষ স্বীকার করে বিজ্ঞ বিচারকের নিকট ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া শেষে ফারুককে কারাগারে পাঠানো হয়।